২১ বছর আগের ধর্ষণ মামলায় একজনের যাবজ্জীবন

নাটোর জেলার মানচিত্র

নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল ২১ বছর আগের একটি ধর্ষণ মামলায় রাজা হোসেন (৩৮) নামের একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। পাশাপাশি তাঁকে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন আদালত। আজ সোমবার দুপুরে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক (দায়রা জজ) মুহাম্মদ আবদুর রহিম এ রায় দেন।

দণ্ড পাওয়া রাজা হোসেন নাটোরের লালপুর উপজেলার বাসিন্দা। তিনি কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার সময় তাঁকে আদালতের কাঠগড়ায় নেওয়া হয়। রায় ঘোষণার পর তাঁকে আবার জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার নথিপত্র থেকে জানা যায়, ভুক্তভোগীর চাচি বাদী হয়ে মামলাটি করেন। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁর দেবরের নাবালিকা মেয়ের সঙ্গে আসামি রাজা হোসেনের পূর্বপরিচয় ছিল। সেই সুবাদে রাজা হোসেন ২০০২ সালের ৩ জুলাই আবদুলপুর রেলস্টেশন থেকে ওই মেয়েকে বিয়ের কথা বলে লালপুরের একটি গ্রামে নিয়ে যান। এরপর মেয়েটিকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। দুই দিন পর রাজা হোসেন মেয়েটিকে তার চাচার বাড়িতে রেখে যান।

মামলাটি থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ফারুখ খলিল তদন্ত করেন। তদন্তের সময় আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তদন্ত শেষে ২০০২ সালের ১ অক্টোবর আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। পরে মামলাটি বিচারের জন্য ট্রাইব্যুনালে আসে। রাষ্ট্রপক্ষ সাক্ষীদের যথাসময়ে আদালতে হাজির করতে ব্যর্থ হওয়ায় মামলার বিচারপ্রক্রিয়া বিলম্বিত হয়। অবশেষে সাক্ষ্যপ্রমাণে দোষী সাব্যস্ত হওয়ায় আদালত আজ আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন।

ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম দণ্ডের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের বিশেষ কৌঁসুলি আনিছুর রহমান বলেন, বিলম্বে হলেও মামলার বাদী ন্যায়বিচার পেয়েছেন। আসামিকে উপযুক্ত শাস্তি পেতে হয়েছে। আসামি আগে থেকেই কারাগারে ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাঁকে দণ্ড ভোগ করার জন্য কারাগারে পাঠানো হয়েছে।