বাগেরহাটে সাংবাদিক হায়াত হত্যার দুই দিন পর মামলা

মামলাপ্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে সাংবাদিক ও বিএনপি নেতা হায়াত উদ্দিনকে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার দুই দিন পর থানায় মামলা হয়েছে। গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নিহত ব্যক্তির মা হাসিনা বেগম বাদী হয়ে বাগেরহাট সদর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেছেন।

নিহত হায়াত উদ্দিন (৪২) দৈনিক ভোরের চেতনা পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক ছিলেন। তাঁর বাড়ি বাগেরহাট পৌর শহরের উত্তর হাড়িখালী এলাকায়। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত বাগেরহাট পৌর বিএনপির সম্মেলনে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচনে অংশ নিয়েছিলেন, কিন্তু পরাজিত হন।

বাগেরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহমুদ-উল-হাসান বলেন, নিহত ব্যক্তির মায়ের করা হত্যা মামলায় একই এলাকার বিএনপি কর্মী মো. ইসরাইল মোল্লাকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া মামলায় সাতজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত শুক্রবার সন্ধ্যায় শহরের হাড়িখালী এলাকায় একটি দোকানে বসে ছিলেন হায়াত উদ্দিন। এ সময় কয়েকজন ব্যক্তি ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাঁকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে ফেলে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয় এবং পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।

আরও পড়ুন

শনিবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ মর্গে হায়াত উদ্দিনের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়। রাতে জানাজার পর নিজ বাড়িতে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। হায়াত উদ্দিন একসময় পৌর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ছিলেন।

প্রধান আসামি মো. ইসরাইল মোল্লা হাড়িখালী এলাকার মো. আবদুস ছালাম মোল্লার ছেলে। তিনি বিএনপির কর্মী এবং ন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড হেলথ কেয়ারের বাগেরহাট জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক। তাঁর বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার অভিযোগও আছে। হত্যাকাণ্ডের পর পুলিশ ইসরাইলের বাড়ি থেকে রক্তমাখা একটি দা ও শার্ট উদ্ধার করেছে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্র জানায়, হায়াত উদ্দিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মাদক ব্যবসা, ঠিকাদারি কাজের মান, রাজনৈতিক দুর্বৃত্তায়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে সরব ছিলেন। তবে তাঁর বিরুদ্ধেও মাদকের মামলা ছিল।