সুনামগঞ্জে আরও চার যুবক গ্রেপ্তার

ধর্ষণ
প্রতীকী ছবি

সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার বড়গোপ টিলায় বেড়াতে নিয়ে গিয়ে কিশোরীকে (১৬) দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় আরও চার যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বুধবার রাতে ও আজ বৃহস্পতিবার অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার ডলুরা গ্রামের হৃদয়, শামু, সাগর ও মথুরকান্দি গ্রামের হৃদয় মিয়া। হৃদয় মিয়া অজ্ঞাতনামা আসামি ছিলেন। অন্য তিনজন এজাহারভুক্ত আসামি। এর আগে গত মঙ্গলবার রাতে ডলুরা গ্রামের বাসিন্দা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি লাল মিয়ার ছেলে শামীমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

ওই কিশোরী গত মঙ্গলবার রাতে বাদী হয়ে তার বান্ধবীসহ পাঁচজনের নামোল্লেখ করে তাহিরপুর থানায় মামলা করে। একজন আসামি ছিলেন অজ্ঞাতনামা। ছয় আসামির মধ্যে রিয়া ছাড়া সবাই গ্রেপ্তার হয়েছেন। ওই কিশোরী বড়গোপ টিলার একটি বাঁশবাগানে সোমবার রাতে দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। তার বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার একটি গ্রামে। মা বিদেশে থাকেন। বাবার সঙ্গে মায়ের বিচ্ছেদ হয়েছে বেশ আগে। তার কোনো ভাইবোন নেই। নানাবাড়িতে সে থাকত। মেয়েটি ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করেছে।

বিশ্বম্ভরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শ্যামল বণিক জানান, ঘটনার পরদিন অভিযান চালিয়ে প্রথমে শামীমকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর গত দুই দিন টানা অভিযান চালিয়ে এই চারজনকে গ্রেপ্তার করেন তাঁরা। গ্রেপ্তার সবাইকে তাহিরপুর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

ওই চারজনকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তাহিরপুর থানার ওসি মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন।

মামলার এজাহারে বলা হয়, গত রোববার বিশ্বম্ভরপুরের ডলুরা গ্রামে বান্ধবী রিয়ার বাড়িতে যায় কিশোরীটি। পরদিন সকালে রিয়ার বড় ভাই হৃদয়ের সঙ্গে ডলুরা বাজারে শামীমের কসমেটিকসের দোকান যায় দুজন। সেখানে আধা ঘণ্টার মতো গল্প করে। এরপর আবার বাড়িতে চলে আসে। দুপুরে বাড়িতে আসে হৃদয়ের আরেক বন্ধু শামু। শামু আলাপের একপর্যায়ে তাকে তাহিরপুরের শিমুলবাগানে বেড়াতে নিয়ে যেতে চান। কিন্তু মেয়েটি প্রথমে রাজি হয়নি। পরে রিয়ার কথায় রাজি হয়। দুটি মোটরসাইকেলের একটিতে শামু ও মেয়েটি, অন্যটিতে হৃদয় ও সাগর রওনা দেন। দুপুরে শিমুলবাগান ঘুরে বিকেলে যান টেকেরঘাট এলাকার নিলাদ্রী লেকে। সেখান সন্ধ্যা সাতটার দিকে আসেন বড়গোপ টিলায়। নির্জন জায়গায় এসে মোটরসাইকেল দুটি থামানো হয়।

মেয়েটি কারণ জানতে চাইলে শামু বলেন, তাঁদের খুশি করতে হবে। কিন্তু মেয়েটি তাতে রাজি হয়নি। তখন শামু তাকে ঝাপটে ধরেন। ওড়না কেড়ে নেন। প্রথমে তাকে ধর্ষণ করেন সাগর। শামু তখন মুঠোফোনে শামীমসহ আরেকজনকে ডেকে আনেন। এরপর একে একে পাঁচজন তাকে ধর্ষণ করেন।