টঙ্গিবাড়ীতে ধরা পড়ল ২৫ কেজি ওজনের বাগাড়

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইলের পদ্মানদীতে জেলের জালে ধরা পড়ে ২৫ কেজি ওজনের এ বাগাড় মাছটি। মঙ্গলবার সকালে মাছটি হাসাইলের মৎস্য আড়তে এনে বিক্রি করা হয়
ছবি: প্রথম আলো

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার হাসাইলের পদ্মা নদীতে এক জেলের জালে ২৫ কেজি ওজনের একটি বাগাড় মাছ ধরা পড়েছে। আজ মঙ্গলবার সকালে মাছটি ওমর আলী নামের এক জেলের জালে ধরা পড়ে। পরে হাসাইলের হোসেন হাওলাদার মৎস্য আড়তে এনে বিক্রি করা হয়।

আরও পড়ুন

জেলে ওমর আলী বলেন, ‘প্রতিদিনের মতো ফাঁসি জাল দিয়ে পদ্মা নদীতে মাছ ধরছিলাম। মঙ্গলবার ভোরে যখন নদী থেকে জাল তুলছিলাম, তখন মাছটি দেখতে পাই। সকালে হাসাই আড়তে নিয়ে আসি। মাছটি ২৫ কেজি ওজনের ছিল। এত বড় মাছ কেনার মতো কোনো ক্রেতা ছিল না। তাই আড়তে এনে ৮৫০ টাকা কেজি ধরে ২১ হাজার ২৫০ টাকায় পাইকারি বিক্রি করি।’

এদিকে আড়তে বড় আকারের বাগাড় মাছটি তোলা হলে উৎসুক লোকজন দেখতে ভিড় জমান। কয়েকজন দরদামও করেন। তবে দাম বেশি হওয়ায় আড়তে থাকা কোনো ক্রেতা একা মাছটি কিনতে পারছিলেন না।

আরও পড়ুন

বাগাড়টি কেনেন হাসাইলের মাছ ব্যবসায়ী আবদুর রহমান। সেখানেই কেটে কেজি হিসেবে বিক্রি করেন। আবদুর রহমান জানান, কয়েক বছর ধরে পদ্মায় বড় আকারের বাগাড় মাছ ধরা পড়ছে। গত বছরও কয়েকটি বড় বাগাড় এ আড়তে বিক্রি করা হয়। আজ সকালে আলী নামের ওই জেলে মাছটি নিয়ে আসেন। মাছটি পাইকারি ৮৫০ টাকা দরে কিনে ক্রেতাদের কাছে ১ হাজার টাকা কেজি বিক্রি করা হয়। খুচরা দামে মাছটি কিনতে পেরে খুশি ক্রেতারা।

বিষয়টি নজরে আনা হলে টঙ্গিবাড়ী উপজেলা মৎস্যকর্মকর্তা নিগার সুলতানা বলেন, বাগাড় মাছ অনেকটাই বিলুপ্তির পথে। এজন্য বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে এ মাছটি ধরা নিষিদ্ধ রয়েছে। যারা ধরবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ারও বিধান রয়েছে। এ বিষয়টি হয়তো জেলেরা জানেন না। তাঁদেরকে সচেতন করতে উপজেলা মৎস্য এবং উপজেলা বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ কার্যালয়ের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।