ছাদের পানি পড়া নিয়ে বিরোধ, ভাই-ভাতিজার লাঠির আঘাতে হত্যার অভিযোগ
গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ছাদ থেকে জমিতে পানি পড়া নিয়ে বিরোধের জেরে ভাই ও ভাতিজাদের লাঠির আঘাতে এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তির পরিবারের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ করা হয়েছে। গতকাল রোববার উপজেলার উনশিয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ব্যক্তির নাম আনন্দ ঘোষ (৪৫)। তিনি একই গ্রামের সুধীর ঘোষের ছেলে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত ব্যক্তিরা হলেন আনন্দের ভাই গৌরাঙ্গ ঘোষ (৫২), কালা ঘোষ (৫০) ও যুগল ঘোষ (৩০) এবং ভাতিজা নয়ন ঘোষ (২৮) ও সৌরভ ঘোষ (২৫)। নয়ন ও সৌরভ কালা ঘোষের ছেলে।
পুলিশ ও এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, নিজেদের জমিতে ছাদের পানি পড়া নিয়ে আনন্দর সঙ্গে তাঁর ভাই গৌরাঙ্গ, কালা ও যুগলের বিরোধ চলে আসছিল। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা একাধিকবার সালিস-বৈঠক করেছেন। গতকাল দুপুরে বৃষ্টির পানি পড়া নিয়ে ওই তিন ভাইয়ের সঙ্গে আনন্দর কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আনন্দকে পিটিয়ে আহত করেন অভিযুক্ত ব্যক্তিরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
আনন্দ ঘোষের স্ত্রী মিতা ঘোষ বলেন, ‘গতকাল দিনে বৃষ্টি হয়েছে। ছাদ থেকে পানি পড়ায় রাতে দেবর ও ভাশুর মিলে বাড়িতে এসে আমার স্বামীকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছে।’
কান্নাজড়িত কণ্ঠে আনন্দ ঘোষের মেয়ে অথৈ ঘোষ বলেন, ‘আমার কাকা ও কাকাতো ভাইয়েরা মিলে বাবাকে হত্যা করেছে। আমরা তাদের ফাঁসি চাই।’
ছাদ থেকে পানি পড়ার বিষয়টি নিয়ে এর আগেও সালিস হয়েছে দাবি করে প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদার বলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একাধিকবার সালিস বৈঠক হলেও কোনো সিদ্ধান্তই তাঁরা মানেননি। শেষ পর্যন্ত ভাই ও ভাতিজাদের হাতে আনন্দকে জীবন দিতে হলো।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আত্মগোপনে আছেন। বাড়িতে গিয়েও তাঁদের পাওয়া যায়নি।
এ ঘটনায় অভিযোগ দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে জানিয়ে কোটালীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান। তিনি বলেন, আনন্দর লাশ ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।