দিনাজপুর জেলার মানচিত্র

বছরখানেক আগে এক বন্ধুর কাছ থেকে তিন হাজার টাকা ধার নিয়েছিল মিরাজুল ইসলাম। ওই টাকা নিয়ে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্য চলছিল। ঘটনার রাতে মুঠোফোনে কল করে মিরাজুলকে আসতে বলে ওই বন্ধু। পরে মিরাজুল, সে ও তাঁদের আরেক বন্ধু মিলে বাজার থেকে বিলের দিকে আড্ডা দিতে যায়। সেখানে কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে মিরাজুলের গলায় ছুরিকাঘাত করে তৃতীয় বন্ধুটি। মৃত্যু নিশ্চিত করে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি পাশের ভুট্টাখেতে ফেলে দেয়। এরপর পরনের কাপড় খুলে বাড়ির অদূরে একটি ময়লার স্তূপে ফেলে দিয়ে খালি গায়ে বাড়িতে যায়।

দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলায় স্কুলশিক্ষার্থী মিরাজুলের গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনায় গ্রেপ্তার তার দুই বন্ধু পুলিশের কাছে এ হত্যার কথা স্বীকার করেছে। বুধবার রাত নয়টার দিকে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে চিরিরবন্দর থানা–পুলিশ।
এর আগে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে উপজেলার আলোকডিহি ইউনিয়নের গছাহার মেম্বারপাড়া এলাকা থেকে মিরাজুল ইসলামের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করা হয়।

মিরাজুল নশরতপুর ইউনিয়নের রানীরবন্দর গরুরহাট এলাকার আমিনুল ইসলামের ছেলে। সে পালাপাড়া দ্বিমুখী আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ ঘটনায় বুধবার বেলা ১১টায় মিরাজুলের বাবা বাদী হয়ে চিরিরবন্দর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এর আগে সকালে ওই দুজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশ জানায়, লাশটি উদ্ধারের পর থেকে পুলিশ অপরাধী শনাক্তে কাজ করছিল। মুঠোফোনের কলের সূত্র ধরে প্রযুক্তির সহায়তায় দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হত্যার কথা স্বীকার করেছে।

হাতকড়া
প্রতীকী ছবি

চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা বজলুর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তার দুজন হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে। তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, হত্যায় ব্যবহৃত ছুটি ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। এ ছাড়া মিরাজুলের ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ অবস্থায় গ্রেপ্তার একজনের বাসায় পাওয়া যায়। গ্রেপ্তার দুজনকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।