বান্দরবানে গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার, পরনে কেএনএফের পোশাক

লাশপ্রতীকী ছবি

বান্দরবানের রুমা থেকে গুলিবিদ্ধ এক ব্যক্তির লাশ ও চারটি অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেলে উপজেলার কেওক্রাডং পাহাড়ের দার্জিলিংপাড়া এলাকা থেকে লাশ ও অস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ। গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির পরনে ছিল সশস্ত্র সংগঠন কুকি–চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) পোশাক। বয়স আনুমানিক ৪০। রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহাজাহান রাত আটটার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেওক্রাডং পাহাড়ের চূড়ায় পৌঁছানোর এক কিলোমিটার আগে দার্জিলিংপাড়া এলাকায় দুপুরে গোলাগুলির শব্দ শোনা যায়। এলাকাটি রেমাক্রীপ্রাংসা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) অধীন। ইউপির এক জনপ্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সমন্বিত অভিযানে গোলাগুলি হয়েছে বলে শোনা গেছে। তবে বিস্তারিত জানা যায়নি।

দার্জিলিংপাড়ায় যেতে হয় রুমা-বগা লেক-কেওক্রাডং-ধুপানিছড়া নির্মাণাধীন সড়ক হয়ে। এটি রুমা উপজেলা সদর থেকে প্রায় ২৭ কিলোমিটার দূরে।

রুমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শাহাজাহান প্রথম আলোকে বলেন, বিকেলে দার্জিলিংপাড়া এলাকা থেকে একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ পাওয়া গেছে। কেএনএফের পোশাক পরা ওই লাশের পরিচয় পাওয়া যায়নি। সেখানে চারটি বন্দুকও পাওয়া গেছে। ওই এলাকায় অভিযান এখনো চলমান।

এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে রুমা, থানচি ও রোয়াংছড়ি উপজেলায় সমন্বিত অভিযানে গোলাগুলিতে এ পর্যন্ত চারজন কেএনএফ সদস্য নিহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

গত ২ এপ্রিল রুমায় ও ৩ এপ্রিল থানচিতে ব্যাংক ডাকাতি এবং রুমায় ব্যাংকে পাহারায় থাকা পুলিশ-আনসারের ১৪টি অস্ত্র, ৪১৫টি গুলি কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সন্ত্রাসীরা লুট করে নিয়ে যায়। রুমায় সোনালী ব্যাংকের ভল্ট ভেঙে টাকা নিতে না পারায় ব্যাংকের ব্যবস্থাপককেও অপহরণ করে কেএনএফ। ব্যাংকের ব্যবস্থাপককে উদ্ধার করা হলেও লুট হওয়া অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার ও কেএনএফ সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সমন্বিত অভিযান পরিচালনা করছে। ব্যাংক ডাকাতি ও অস্ত্র লুটের ঘটনায় করা ৯টি মামলায় এ পর্যন্ত ৭১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।