হালুয়াঘাট সীমান্তে বসতবাড়িতে বন্য হাতির তাণ্ডব

বন্য হাতির তাণ্ডবে তছনছ হওয়া বসতঘর। আজ শুক্রবার সকালে হালুয়াঘাটের কড়ইতলী গ্রামে
ছ‌বি: প্রথম আলো

ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট উপজেলার সীমান্তবর্তী এলাকার একটি বসতবাড়িতে বন্য হাতির দল তাণ্ডব চালিয়েছে। আজ শুক্রবার ভোরে উপজেলার ভুবনকুড়া ইউনিয়নের কড়ইতলী এলাকার মহর উদ্দিনের বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় বাড়ির উঠানের ফলের গাছসহ দুটি ঘর তছনছ করে করে ফেলে বন্য হাতির দল। এতে মহর উদ্দিনের প্রায় দুই লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন।

বন বিভাগ ও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ৩৫ থেকে ৪০টি বন্য হাতি ১৫-২০ দিন ধরে উপজেলার কড়ইতলী এলাকার সীমান্তবর্তী পাহাড়ের ঢালে অবস্থান করছে। সন্ধ্যা হলেই খাবারের সন্ধানে হাতির দলটি লোকালয়ে নেমে আসে। হানা দেয় ফসলি জমিতে। কয়েক দিন ধরে কড়ইতলী, লক্ষ্মীকুড়াসহ এলাকার বাসিন্দারা রাত জেগে পাহারা দিয়েও ফসল রক্ষা করতে পারছেন না। ইতিমধ্যে প্রায় ৫০ একর জমির সবজি ও ধান নষ্ট করেছে হাতির পাল। এ নিয়ে বিপাকে পড়েছেন স্থানীয় কৃষকেরা। আজ ভোরে কড়ইতলী এলাকার মহর উদ্দিনের বসতবাড়িতে ঢুকে একটি টিনের থাকার ঘর, রান্নাঘর ভেঙে দেয়। এ সময় বাড়ির আঙিনায় থাকা একটি কাঁঠালগাছ নষ্ট করে হাতির পাল।

মহর উদ্দিনের স্ত্রী ছাহেরা খাতুন প্রথম আলোকে বলেন, ‘হাতির চিৎকার শুনেই আমরা ঘরবাড়ি ছেড়ে দৌড়ে পালিয়েছি। আমার থাকার ঘরটি হাতির দল ভেঙে দিয়েছে। পরিবার নিয়ে অন্যের বাড়িতে গিয়ে রাত কাটিয়েছি।’

কৃষক শাহ আলম বলেন, ‘হাতির দল আগুন দেখেও ভয় পায় না। হইহল্লা করেও কাজ হয় না। আমরা এখন নিরুপায়।’ স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, গত কয়েক দিনে বন্য হাতি প্রতিরোধ করতে গিয়ে দুজন কৃষক মারা গেছেন। অনেকেই আহত হয়েছেন।

বন বিভাগের গোপালপুর বিট কর্মকর্তা মো. মাজাহারুল ইসলাম বলেন, ৩৫-৪০টি বন্য হাতি জঙ্গল থেকে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নেমে আসে। এলাকাবাসীকে সঙ্গে নিয়ে তাঁরা হাতির পালটিকে জঙ্গলে ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছেন। আজ ভোরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে বন বিভাগে আবেদন করতে বলা হয়েছে।