কুষ্টিয়ায় হঠাৎ বিয়েবাড়িতে হাজির সহকারী কমিশনার, বরকে জরিমানা

বাল্যবিবাহ
প্রতীকী ছবি

ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে সাজানো হচ্ছিল বধূ সাজে। আর ৬০ জন বরযাত্রী ফটকের লাল ফিতা কেটে এসে প্যান্ডেলে বসে খাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। হঠাৎ সেখানে পুলিশ নিয়ে হাজির হন কুমারখালী উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত। পরে তাঁর হস্তক্ষেপে মেয়েটির বাল্যবিবাহ বন্ধ করা হয়। সেই সঙ্গে বরকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

শুক্রবার বিকেল চারটার দিকে কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার শিলাইদহ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত মেয়েকে বিয়ে দেওয়া যাবে না মর্মে অভিভাবকদের মুচলেকা নেওয়া হয়।

বিয়েবাড়ির লোকদের ভাষ্য, ২৯ অক্টোবর নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীর (১৫) সঙ্গে কুষ্টিয়ার হরিপুর এলাকার এক ব্যবসায়ীর (৩০) পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হয়েছে। আজ শুক্রবার আনুষ্ঠানিক ও সামাজিকভাবে বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। খবর পেয়ে এসি ল্যান্ড মো. আমিরুল আরাফাত সেখানে গিয়ে বিয়ে বন্ধ করেন।

সহকারী কমিশনার মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, নোটারি করে বিয়ে দেওয়ার আইনগত কোনো ভিত্তি নেই। বাল্যবিবাহের আয়োজন করায় বরকে বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। সেই সঙ্গে মেয়ের অভিভাবকদের মুচলেকা নেওয়া হয় এবং বিয়ের ভুয়া কাগজপত্র জব্দ করা হয়েছে।