শ্রীপুরে শ্রমিকেরা সকালে কাজে গিয়ে দেখেন কারখানা বন্ধের নোটিশ
গাজীপুরের শ্রীপুরের জৈনা বাজার এলাকায় এএ নিটস্পিন মিলস লিমিটেড নামের কারখানার শ্রমিকেরা কাজে যোগ দিতে গিয়ে দেখেন, ফটকে ঝুলছে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ।
আজ সোমবার সকালে নোটিশটি দেখে উত্তেজিত শ্রমিকেরা কারখানার সামনে অবস্থান নেন। তাঁরা কারখানা খোলার জন্য আন্দোলন শুরু করেন। পরে শিল্প পুলিশের আশ্বাসে শ্রমিকেরা বেলা একটার দিকে আন্দোলন স্থগিত করেন।
কারখানার সামনে টানানো নোটিশে বলা হয়, গত বৃহস্পতিবার শ্রমিকেরা বকেয়া বেতনের দাবিতে আন্দোলনের সময় কারখানার গুরুত্বপূর্ণ মেশিন ভাঙচুর করেছেন। এ অবস্থায় উৎপাদন কার্যক্রম চালানো সম্ভব নয়। তাই মালিকপক্ষ বাংলাদেশ শ্রম আইন–২০০৬-এর ধারা ১৩(১) অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এএ নিটস্পিন কারখানায় শ্রমিকদের বেতন বকেয়া পড়েছে। আন্দোলনের মুখে গতকাল রোববার বকেয়া তিন মাসের বেতনের মধ্যে এক মাসের বেতন পরিশোধ করেছে কারখানার কর্তৃপক্ষ। আজ থেকে কারখানা চালু করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁরা নির্দিষ্ট সময়ে কারখানার সামনে গিয়ে দেখেন, ফটকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধের নোটিশ টানানো।
শ্রমিকদের দাবি, কারখানাটির বেশির ভাগ শ্রমিকের দুই মাসের বেতন বকেয়া আছে। নোটিশে কারখানার ভেতর শ্রমিকদের ভাঙচুরের কারণ উল্লেখ করা হলেও সেখানে কোনো ভাঙচুর করা হয়নি।
কারখানার মেকানিক্যাল বিভাগের কর্মী জাকির হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, কথা অনুযায়ী সকালে তাঁরা কারখানায় কাজে গিয়ে বন্ধের নোটিশ দেখতে পান। এতে শ্রমিকেরা উত্তেজিত হন। তাঁরা এ সিদ্ধান্তের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদ জানান। এ অবস্থায় সেখানে থাকা শিল্প পুলিশ শ্রমিকদের আগামীকাল মঙ্গলবার কারখানার সামনে আসার জন্য বলে। কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে কারখানা চালু করা হবে বলে কথা দেয়। এরপর শ্রমিকেরা শান্ত হয়ে আন্দোলন স্থগিত করেন।
এ বিষয়ে কারখানার কর্মকর্তা মো. জসিমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ধরেননি।
শিল্প পুলিশের শ্রীপুর সাব–জোন ইনচার্জ আবদুল লতিফ প্রথম আলোকে বলেন, কারখানা বন্ধের নোটিশে শ্রমিকেরা উত্তেজিত হলেও পরে তাঁদের বুঝিয়ে শান্ত করা হয়।