জাহাঙ্গীরনগরে পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) ভর্তি পরীক্ষায় পোষ্য কোটা বাতিলের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন তাঁরা। বেলা ৩টা পর্যন্ত তাঁরা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া নেতা-কর্মীরা বলছেন, বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করতে গিয়ে শত শত মানুষ জীবন দিলেন। স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর নতুন বাংলাদেশে সেই একই কায়দায় বৈষম্যমূলক কোটা রয়েছে, যা তাঁরা চান না। দ্রুত যদি এই পোষ্য কোটা বাতিল না করা হয়, তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য অচল করে দেবেন তাঁরা। আগামী রোববারের মধ্যে পোষ্য কোটা বাতিলের উদ্যোগ না নেওয়া হলে তাঁরা অনশন কর্মসূচি দেবেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জাবি শাখার সদস্যসচিব তৌহিদ সিয়াম প্রথম আলোকে বলেন, কোটা মূলত অনগ্রসর জনগণের জন্য দেওয়া হয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কোনোভাবেই অনগ্রসর নন। কাজেই তাঁরা কোনোভাবেই এই অযৌক্তিক পোষ্য কোটার সুবিধা নিতে পারেন না। অবিলম্বে যদি এই পোষ্য কোটা পুরোপুরি বাতিল করা না হয়, তাহলে অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দিতে বাধ্য হবেন তাঁরা।
জাবি শাখার আহ্বায়ক আরিফুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ন্যূনতম নম্বর তুলেই একজন পোষ্য কোটায় ভর্তির সুযোগ পাচ্ছেন। অথচ দেশের কৃষক-শ্রমিকদের সন্তানেরাও মেধার ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। তাই তাঁরা মনে করেন, পোষ্য কোটা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বৈষম্য তৈরি করছে। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনের লক্ষ্যে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের পর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে পোষ্য কোটা নামের কোনো কোটা থাকতে পারে না। দ্রুত সময়ের মধ্যে জাবির ভর্তি পরীক্ষায় অযৌক্তিক পোষ্য কোটা বাতিল করতে হবে, অন্যথায় সচেতন শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।