পৌরসভা নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

কক্সবাজার পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ওই দিন স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী সরওয়ার কামালসহ পাঁচজন কাউন্সিল প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। তবে আজীবনের জন্য বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত ১২ কাউন্সিল প্রার্থীর কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। বহিষ্কৃত প্রার্থীদের মধ্যে পাঁচজন পৌরসভার বর্তমান কাউন্সিলর।

গত সোমবার দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে পৌরসভা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় ১২ জন কাউন্সিলর প্রার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করা হয়। বহিষ্কারের ওই নোটিশে স্বাক্ষর করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

বহিষ্কৃত প্রার্থীরা হলেন কক্সবাজার জেলা কৃষক দলের আহ্বায়ক আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী, জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম, কক্সবাজার পৌর মৎস্যজীবী দলের সভাপতি এম জাফর আলম হেলালী, জেলা বিএনপির সদস্য এস আই এম আকতার কামাল, কক্সবাজার পৌর শ্রমিক দলের সভাপতি আবছার কামাল, সাধারণ সম্পাদক ওসমান সরওয়ার, জেলা মহিলা দলের সভাপতি নাসিমা আকতার, দপ্তর সম্পাদক জাহেদা আকতার, কক্সবাজার পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম, জেলা যুবদলের প্রচার সম্পাদক শাহাব উদ্দিন, সদস্য ওমর সিদ্দিক এবং কক্সবাজার পৌর যুবদলের সদস্য আবদুল্লাহ আল মামুন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জেলা বিএনপির কয়েকজন নেতা প্রথম আলোকে বলেন, ১২ নেতাকে বহিষ্কার করা হলেও তাঁদের দলে ফিরিয়ে আনার সুযোগ ছিল। গতকাল তাঁরা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা যেত। কিন্তু ১২ জনের কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার না করায় সে সুযোগ হাতছাড়া হয়ে গেল।

বহিষ্কৃত ব্যক্তিদের মধ্যে রয়েছেন ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর আশরাফুল হুদা সিদ্দিকী জামসেদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘কমবেশি সবার মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ছিল। কিন্তু তার আগেই আমাদের আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হয়। আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগও দেওয়া হয়নি। এখন নির্বাচন না করে উপায় নেই। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নিলে দলের সদস্যপদ ফিরিয়ে দেওয়া হবে, এই নিশ্চয়তাও কেউ দেয়নি।’

পৌরসভার সংরক্ষিত ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর নাসিমা আকতার বলেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের আগেই তাঁদের বহিষ্কার করা হয়েছে। এখন নির্বাচনে লড়ে যাওয়া ছাড়া উপায় নেই।

জেলা বিএনপির দপ্তর সম্পাদক ইউসুফ বদরী বলেন, কেন্দ্রের নির্দেশে তাঁদের দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে জেলা বিএনপির কিছু করার নেই।

পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন পাঁচজন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মো. মাহাবুবুর রহমান চৌধুরী, স্বতন্ত্র (বিদ্রোহী আওয়ামী লীগ) মাসেদুল হক রাশেদ, তাঁর স্ত্রী জোসনা হক, বাংলাদেশ মঙ্গল পার্টির চেয়ারম্যান জগদীশ বড়ুয়া এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মো. জাহেদুর রহমান। এ ছাড়া সংরক্ষিত মহিলা ওয়ার্ডে ১৬ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডে ৫৬ জন কাউন্সিলর প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। আজ শুক্রবার প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে। এরপর নির্বাচনী প্রচারণায় মাঠে নামবেন তাঁরা।