বগুড়ায় সড়ক অবরোধের সময় জামায়াতের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ

অবরোধ সমর্থনে লাঠিসোঁটা হাতে সড়ক অবরোধ করেন জামায়াতের নেতা–কর্মীরা। বুধবার সকালে বগুড়া বাইপাস সড়কের সাবগ্রাম এলাকায়
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির তৃতীয় দফায় ডাকা অবরোধের প্রথম দিন আজ বুধবার সকালে বগুড়া সদরে সড়ক অবরোধ করার সময় জামায়াত ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় বেশ কয়েকটি বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়। জামায়াতের নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে বগুড়া বাইপাস সড়কের সাবগ্রাম এলাকায় এবং সকাল আটটার দিকে বগুড়া সদরের বাঘোপাড়া ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে এসব ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বগুড়া শহরের বাইপাসের সাবগ্রাম এলাকায় বগুড়া শহর জামায়াতের আমির আবিদুর রহমানের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা লাঠি হাতে মহাসড়ক অবরোধ করেন। বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে পুলিশ নেতা–কর্মীদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাসের শেল ও শটগানের গুলি ছোড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যায়।

বগুড়া শহর জামায়াতের আমির আবিদুর রহমান দাবি করেন, পুলিশ তাঁদের শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচিতে গুলি ও কাঁদানের গ্যাসে শেল ছুড়েছে। এতে তাঁদের ১০ নেতা-কর্মী গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

এদিকে সকাল আটটার দিকে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বাঘোপাড়ায় পুলিশের সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জামায়াতে ইসলামীর স্থানীয় নেতা আলী আজগরের নেতৃত্বে নেতা-কর্মীরা বাঘোপাড়া মহাসড়কে অবস্থান নেন। এ সময় অবরোধকারী ব্যক্তিদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানের গ্যাসের শেল ছোড়ে।

বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার স্নিগ্ধ আখতার বলেন, জামায়াতের নেতা-কর্মীরা চোরাগোপ্তাভাবে মহাসড়ক অবরোধ করার চেষ্টা করেন। বাধা দিতে গেলে পুলিশের ওপর ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছেন তাঁরা। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কাঁদানের গ্যাসের শেল ও গুলি ছুড়েছে। তবে পুরো পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে আছে।

অন্যদিকে বগুড়া জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলী আজগর তালুকদারের নেতৃত্বে দলটির নেতা-কর্মীরা সকাল থেকে শহরের দ্বিতীয় বাইপাস মহাসড়কের লিচুতলা মোড় এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করেন। সেখানে বিএনপি ও এর সহযোগী অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীরা সরকারবিরোধী স্লোগান দেন। তবে দুপুর ১২টা পর্যন্ত সেখানে কোনো সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।