বগুড়ায় হাতকড়াসহ পালানো আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল সাভার থেকে গ্রেপ্তার

আওয়ামী লীগ নেতা রেজ্জাকুল ইসলামছবি : প্রথম আলো

বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজ্জাকুল ইসলাম ওরফে রাজুকে ঢাকার সাভারের নবীনগর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

গ্রেপ্তারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন র‍্যাব-১২-এর ক্রাইম প্রিভেনশন স্পেশালাইজড কোম্পানির (সিপিএসসি) বগুড়া ক্যাম্পের অধিনায়ক স্কোয়াড্রন লিডার ফিরোজ আহমেদ। তিনি বলেন, রেজ্জাকুল ইসলামকে সাভার থেকে বগুড়ায় আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাঁকে শিবগঞ্জ থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

র‍্যাবের সূত্র জানায়, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব-১২-এর বগুড়া সিপিএসসি, র‍্যাব-৪-এর সিপিসি-২ ও সাভারের সদস্যরা গতকাল বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে যৌথ অভিযান চালিয়ে নবীনগর এলাকা থেকে রেজ্জাকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেন।

রেজ্জাকুল শিবগঞ্জ উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামের বাসিন্দা। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান। পুলিশ জানায়, তাঁর বিরুদ্ধে ২টি হত্যাসহ জুলাই-আগস্টের সহিংস ঘটনার মোট ১৪টি মামলা তদন্তাধীন। গত বছর ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকে তিনি আত্মগোপনে ছিলেন।

আরও পড়ুন

৪ অক্টোবর রাত সাড়ে আটটার দিকে শিবগঞ্জ উপজেলার চক ভোলাখাঁ গ্রামে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে রেজ্জাকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে হাতকড়া পরিয়ে থানায় নেওয়ার সময় তাঁর সহযোগীরা পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে হাতকড়াসহ রেজ্জাকুলকে ছিনিয়ে নেন। ঘটনার পর দায়িত্ব পালনে ব্যর্থতা ও গাফিলতির অভিযোগে অভিযানে অংশ নেওয়া উপপরিদর্শক (এসআই) আবদুল্লাহ আল মামুনকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনসে সংযুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) আসাদুজ্জামানকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে জেলা পুলিশ। কমিটির অন্য দুই সদস্য হলেন শিবগঞ্জ-সোনাতলা সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার রবিউল ইসলাম ও পুলিশ সুপার কার্যালয়ের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম।

আরও পড়ুন

এ ঘটনায় শিবগঞ্জ থানায় পুলিশের পক্ষ থেকে ২০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ২০০ থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়। ওই মামলায় পুলিশ চক ভোলাখাঁ গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে, যাঁদের মধ্যে ১১ জনই নারী। এ ঘটনার পর থেকে পুলিশের ভয়ে চক ভোলাখাঁ গ্রাম প্রায় জনশূন্য হয়ে পড়েছে।