ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় গভীর রাতে দুই পক্ষের সংঘর্ষ, হত্যা মামলার বাদীপক্ষের বাড়িতে আগুন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে গভীর রাতে দুই দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষের একপর্যায়ে হত্যা মামলার বাদীপক্ষের বাড়িতে আগুন দেওয়া হয়। গতকাল রাতে উপজেলার দেওড়া গ্রামেছবি: সংগৃহীত

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় গভীর রাতে দুই দল গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে হত্যা মামলার আসামিদের বিরুদ্ধে বাদীপক্ষের তিনটি বসতবাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টা থেকে রাত সাড়ে ৩টা পর্যন্ত উপজেলার শাহজাদাপুর ইউনিয়নের দেওড়া গ্রামে এসব ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দেওড়া গ্রামে প্রায় সোয়া শতক সরকারি জমির দখল নিয়ে স্থানীয় বাসিন্দা দানা মিয়া ও শিপন মিয়ার লোকজনের মধ্যে তিন থেকে চার বছর ধরে বিরোধ চলছিল। এ বিরোধকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসী দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এর জেরে গত ১৫ ও ২৩ নভেম্বর উভয় পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এসব সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ২০ থেকে ২৫টি বাড়িতে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

২৩ নভেম্বরের সংঘর্ষের সময় প্রতিপক্ষের দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে দানা মিয়ার পক্ষের আরফজ আলী (৬০) নিহত হন। এ ঘটনায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও ২০ থেকে ৩০ জনের বিরুদ্ধে সরাইল থানায় একটি হত্যা মামলা করা হয়। এর আগে ১৫ নভেম্বরের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে আরেকটি মামলা দায়ের করে।

স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানায়, গতকাল রাতে আবারও উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় শিপন মিয়া ও ইদন মিয়ার নেতৃত্বে একটি পক্ষ মামলার বাদী বায়েজিদ বোস্তামি, তাঁর পক্ষের আবদুল হান্নান ও কালা মিয়ার বসতবাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এতে ইসহাক মিয়া (৩৫) নামের এক ব্যক্তি আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনজুর কাদের ভূঁইয়া ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে প্রথম আলোকে বলেন, ‘গভীর রাতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর জেলা সদর থেকে অতিরিক্ত পুলিশ নিয়ে আমরা গ্রামে অভিযান চালিয়েছি। তবে কাউকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি। সারা রাত আমরা ওই গ্রামে কাটিয়েছি। ঘটনার সঙ্গে জড়িদের আইনের আওতায় আনা হবে।’