শিশুর কান্না শুনে ৯৯৯–এ ফোন, বদ্ধ ঘরে পাওয়া গেল দম্পতির ঝুলন্ত লাশ

রিপদ দাস ও তাঁর স্ত্রী শিপা দাস
ছবি: সংগৃহীত

বদ্ধ ঘরে শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান প্রতিবে‌শীরা। ডাকাডা‌কি করেও কারও সাড়াশব্দ না পেয়ে জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯–এ কল দেন। পরে পু‌লিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে ঘরের বড় একটি কক্ষের দুটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করে। লাশের পাশ থেকে ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো’ লেখা এক‌টি চিরকুট পাওয়া গেছে।

আজ রোববার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিলেট নগরের পাঠানটুলা এলাকার পল্লবী আবাসিক এলাকার সি-২৫ নম্বর বাসা থেকে লাশ দুটি উদ্ধার করা হয়।

মারা যাওয়া দম্প‌তি হলেন রিপন দাস (৩৩) ও তাঁর স্ত্রী শিপা দাস (২৮)। রিপন সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার রাজাবাজ গ্রামের নির্ণয় দাসের ছেলে। শিপা একই গ্রামের রুকুনি তালুকদারের মেয়ে। তাঁদের দুই বছরের একটি ছেলেসন্তান রয়েছে। সিলেটের একটি বেসরকারি কোম্পানিতে চাকরি করতেন রিপন।

মারা যাওয়া দম্প‌তির প্রতিবেশী শিল্পী সরকার বলেন, সাত মাস ধরে তাঁরা নগরের পাঠানটুলার ওই বাসায় ভাড়া থাকতেন। আজ সকালে ওই দম্প‌তির ঘর থেকে তিনি শিশুর কান্নার শব্দ শুনতে পান। এ সময় তি‌নিসহ আশপাশের অন্য প্রতিবেশীরা গিয়ে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ পান। অনেক ডাকাডাকি করেও সাড়াশব্দ না পেয়ে ৯৯৯ নম্বরে কল দিয়ে বিষয়টি জানান। এরপর পু‌লিশ গিয়ে দরজা ভেঙে রিপন ও তাঁর স্ত্রী শিপার লাশ উদ্ধা‌র করে।

পু‌লিশ জানায়, ঘরের এক‌টি বড় কক্ষের দুটি সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলতে থাকা স্বামী-স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে তারা। ঘটনাস্থলে এক‌টি চিরকুট পাওয়া গেছে। এতে লেখা, ‘আমার পাপের প্রায়শ্চিত্ত করেছি, তোমরা আমার সন্তানকে খেয়াল রেখো।’ তবে চিরকুট‌টি কার লেখা, সে‌টি নি‌শ্চিত হতে পারে‌নি পু‌লিশ।

সিলেটের জালালাবাদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাজমুল হুদা খান প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়‌টি খ‌তিয়ে দেখা হচ্ছে। লাশ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য সিলেটের এম এ জি ওসমানী মে‌ডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে বি‌ভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেছে পুলিশ।