নারায়ণগঞ্জে মুখোশ পরে এসে তরুণকে কুপিয়ে হত্যা

কুপিয়ে হত্যা
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দর উপজেলায় মেরাজুল ইসলাম (২৩) নামের এক তরুণকে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আল আমিন নামের এক তরুণ। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় উপজেলার রূপালী আবাসিক এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

নিহত মেরাজুল ইসলাম উপজেলার সালেহনগর এলাকার আজহারুল ইসলামের ছেলে। আহত আল আমিন (২১) রূপালী আবাসিক এলাকার জাভেদ মিয়ার ছেলে। তাঁরা দুজন বন্ধু ছিলেন। তাঁদের গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে গতকাল রাত সাড়ে ৮টার দিকে চিকিৎসকেরা মেরাজুলকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানায়, মেরাজুল ইসলাম বন্দরের রূপালী আবাসিক এলাকায়ে একটি গ্রিল ও ঝালাইয়ের দোকানের মালিক। গতকাল সন্ধ্যার দিকে দোকানের সামনে ছিলেন মেরাজুল ও তাঁর বন্ধু আল আমিন। সেখানে মুখোশ পরা সন্ত্রাসীরা এসে তাঁদের দুজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। গুরুতর আহত অবস্থায় প্রথমে তাঁদের নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৮টার দিকে মেরাজুল মারা যান।

নিহত মেরাজুল ইসলামের ভাই মো. সম্রাট বলেন, পূর্বশত্রুতার জেরে তাঁর ভাইকে প্রতিপক্ষের লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তিনি তাঁর ভাই হত্যার বিচার দাবি করেন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বন্দর উপজেলার নূরবাগ এলাকার রাজু আহমেদ ওরফে স্ট্যান্ড রাজু এবং একই উপজেলার চিনারদীর আকিব হাসান ওরফে রাজু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ আছে। এই দুই পক্ষই স্থানীয় যুবলীগ কর্মী খান মাসুদের অনুসারী হিসেবে পরিচিত। এই আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গত ১৩ মার্চ এই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে দুটি মামলাও হয়। নিহত মেরাজুল ইসলাম রাজু আহমদের পক্ষে ছিলেন। তিনি আকিব হাসান গ্রুপের করা মামলার আসামি ছিলেন।

বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বক্কর সিদ্দিক প্রথম আলোকে বলেন, পূর্বশত্রুতা ও ব্যবসায়িক দ্বন্দ্বের জেরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, গ্রিল ও পাথরের ব্যবসাকে নিয়ে বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষ আকিবুল হাসান ওরফে রাজুর লোকজন হামলা চালিয়ে মেরাজুলকে হত্যা করেছে। এই ঘটনায় কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

মেরাজুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে আছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, মেরাজুল ইসলাম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে। আল আমিন গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন।