গোপালগঞ্জ আদালতে রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী
ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার আদালতে হাজির না হয়ে জামিনের আবেদন করলে তা খারিজ করে দিয়ে রিজভীর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন গোপালগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট রুবেল শেখ।

প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করায় ও নিজের পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করার অভিযোগ তুলে গোপালগঞ্জ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি দেলোয়ার হোসেন সরদার ২০১৯ সালের ২০ জানুয়ারি রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করেন। মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) দেন আদালত। সিআইডি ২০২১ সালে আদালতে মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করে। ওই বছরের ২৮ ফেব্রুয়ারি মামলাটি আমলে নিয়ে রিজভীর বিরুদ্ধে সমন জারি করেন আদালত। রিজভী আদালতে হাজির না হওয়ায় ১৪ সেপ্টেম্বর আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। আদালতে উপস্থিত না হয়েই ২০২৩ সালের ১৮ এপ্রিল জামিন নেন রিজভী।

গত ৯ মে মামলাটি বিচারের জন্য জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১–এ বদলি হয়। এরপর নতুন করে ২২ জুন মামলার শুনানির দিন ধার্য হয়। তবে সেদিনও আদালতে না গিয়ে আবার জামিন চান রুহুল কবির রিজভী। আদালত জামিন নামঞ্জুর করে তাঁকে আজ ৩০ আগস্ট আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। রুহুল কবির রিজভী আদালতে হাজির না হয়ে আজ আবার জামিনের আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদী দেলোয়ার হোসেন সরদার বলেন, ‘রুহুল কবির রিজভী ২০১৮ সালে সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগ ও প্রধানমন্ত্রীর ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করেন। তিনি ওই সংবাদ সম্মেলনে ভুয়া পাঁচটি বইয়ের রেফারেন্স দিয়ে আমি ও আমার পিতা হাসেন সরদারকে পাকিস্তানি বাহিনীর সহযোগিতাকারী, মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী ও মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে অবস্থানকারী বলে আখ্যায়িত করেন। আমি তখন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র ও আমার বাবা ছিলেন মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী। প্রধানমন্ত্রী ও আমার পরিবারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করায় রুহুল কবির রিজভীর বিরুদ্ধে মামলা করি।’