ব্যবসায়ীকে নির্যাতনের মামলায় সোনারগাঁ থানার সাবেক ওসির বিরুদ্ধে পরোয়ানা

সোনারগাঁ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ও উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন বসাক (ডানে)
ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে এক ব্যবসায়ীসহ তিন ব্যক্তিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে থানায় নির্যাতনের ঘটনায় করা মামলায় থানার সাবেক ওসিসহ দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জের জেলা দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেন এ আদেশ দেন।

পরোয়ানা জারি হওয়া ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তা হলেন সোনারগাঁ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম ও উপপরিদর্শক (এসআই) সাধন বসাক।

আদালত পুলিশের পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এসব তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, সরকারি ক্ষমতার অপব্যবহার করে মামলার বাদীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করার অভিযোগে ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নির্যাতন ও হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইনে মামলা করা হয়। মামলায় ওই দুই পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

নির্যাতনের শিকার ওই তিন ব্যক্তি হলেন সোনারগাঁ উপজেলার যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম, কাপড় ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান ও মো. বাবুল। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আনিসুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি করেন।

বাদীপক্ষের আইনজীবী মৃণাল কান্তি দত্ত বলেন, ‘আমরা ২০২০ সালে আদালতে একটি মামলা করি। মামলার পর আদালত বিষয়টি তদন্তের জন্য পাঠান। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে আজ আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

মামলার বাদী আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ২০১৮ সালের ৭ অক্টোবর মধ্যরাতে যুবলীগ নেতা জাহিদুল ইসলাম, তাঁর বন্ধু মো. বাবুল ও তাঁকে সোনারগাঁ থানার তৎকালীন ওসি মোরশেদ আলম ও এসআই সাধন বসাক বাসা থেকে তুলে নিয়ে থানায় নির্যাতন করেন।

নির্যাতনের শিকার জাহিদুল ইসলাম বলেন, সোনারগাঁ উপজেলার দত্তপাড়া এলাকায় তাঁর কেনা প্রায় ১০ কোটি টাকা মূল্যের একটি জমি দখলে নিতে একটি শিল্পপ্রতিষ্ঠানের পক্ষ হয়ে পুলিশ তাঁদের থানায় তুলে নিয়ে যায়। এ সময় ওসি ও এসআই তাঁদের হাত-পা ও চোখ বেঁধে নির্যাতন করেন এবং জমিটি ছেড়ে না দিলে বন্দুকযুদ্ধে হত্যার হুমকি দেন। এ ছাড়া বন্দুকযুদ্ধ থেকে বাঁচার জন্য ৫০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন ওসি। পুলিশের প্রস্তাবে রাজি না হলে সারা রাত থানায় আটকে রেখে নির্যাতন করে পরের দিন উপজেলা যুবলীগের সভাপতির জিম্মায় ছেড়ে দেন।