বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, দলের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা, কর্মীদের উসকানি বা বিভ্রান্ত করা, অন্তর্ঘাত, দলের গঠনতন্ত্র ও আদর্শবিরোধী কার্যক্রমে যুক্ত থাকার অপরাধে এন্তাজুল হক ও আকবর আলীকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে এন্তাজুল হকের বিষয়ে বলা হয়েছে, গত সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে কর্মকাণ্ডে লিপ্ত থাকা, ১৪ দলের বিষয়ে দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে কাজ করা এবং গত আইনজীবী নির্বাচনে সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদে ইব্রাহিম-শাহজাহান প্যানেলের বিপক্ষে এককভাবে কাজ করেন। সম্প্রতি দলের অভ্যন্তরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি, নৈরাজ্য ও বিভেদ তৈরি করার অপচেষ্টা করেন। তিনি দলের পদ–পদবি ব্যবহার করে কর্মীদের উসকানি ও বিভ্রান্ত করছেন, যা বিশ্বাসঘাতকতার শামিল।

আকবর আলীর বিষয়ে বলা হয়েছে, দলের পদ–পদবি ব্যবহার করে এলাকায় অবৈধ জমির ব্যবসা করেন। থানায় দেন দরবার করে ব্যক্তিগত সুবিধা নেওয়া, দলীয় কার্যালয়ের নামে জমি আত্মস্বার্থের অপচেষ্টা, পার্টির কর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টায় লিপ্ত থাকছেন।

গতকালের যৌথ সভায় সভাপতিত্ব করেন মহানগর ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি লিয়াকত আলী। এতে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলার সভাপতি রফিকুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক, কেন্দ্রীয় সদস্য ও জেলার সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল হক, কেন্দ্রীয় সদস্য ও মহানগরের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সাদরুল ইসলাম, আবু সাঈদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কালাম আজাদ, আবদুল মতিন ও সিরাজুর রহমান খান, জেলার সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য মতিউর রহমান, বিমল চন্দ্র রাজোয়ার প্রমুখ।

মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেবাশিষ প্রামাণিক প্রথম আলোকে বলেন, সংগঠনবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগে দুই নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে। তাঁদের সঙ্গে এখন থেকে দলের আর কোনো সম্পর্ক নেই।

এ বিষয়ে এন্তাজুল হক বলেন, তিনি গত বছরের মে মাস থেকে দলের সঙ্গে নেই। তাই এই বহিষ্কারে কিছু যায়–আসে না। তারা যে অভিযোগগুলো এনেছে, এগুলো ঠিক নয়, মিথ্যাচার। তিনি দু-এক দিনের মধ্যে এই কথাগুলোর পাল্টা জবাব দেবেন।

আকবর আলী প্রথম আলোকে বলেন, তিনি কেবল শুনলেন বহিষ্কারের বিষয়টি। তিনি এলাকায় সিমেন্টের ব্যবসা করেন। তাঁর হার্ডওয়্যারের একটি দোকান আছে। তারা মিথ্যা অভিযোগ এনেছে। তাঁকে বহিষ্কারের আগে কোনো কিছুই জানানো হয়নি। তিনি বহিষ্কার নোটিশ পাওয়ার পর এ বিষয়ে বিস্তারিত কথা বলবেন।