যুবলীগ নেতার বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে মাদক ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার মানচিত্র

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মোখলেছুর রহমানের বিরুদ্ধে এক ব্যক্তিকে আবারও মাদক ব্যবসায় বাধ্য করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ওই ব্যক্তির স্ত্রী এ অভিযোগ করেন। এর আগে গত ১১ জুলাই সংবাদ সম্মেলন করে কামাল হোসেন নামের এক যুবলীগ কর্মী চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ করেন।

স্বামীর উপস্থিতিতে সংবাদ সম্মেলনে ওই নারী বলেন, তাঁর শ্বশুর কৃষক ও স্বামী ব্যবসায়ী। ২০১৭ সাল থেকে তাঁর স্বামী যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন। ২০২১ সালে মোখলেছুর রহমান চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। চেয়ারম্যান হওয়ার তিন চার মাস পর থেকে শুরু করেন সাধারণ জনগণের ওপর নির্যাতন। চেয়ারম্যান তাঁর স্বামীকে মাদকের ব্যবসা করতে বলেন। তাঁর স্বামী মাদক ব্যবসা করতে অস্বীকৃতি জানান।

ওই নারী আরও বলেন, চেয়ারম্যান নাছোড়বান্দা হয়ে তাঁর স্বামীর পিছু লেগে থাকেন, গালাগালি করেন, হুমকি দেন, তাঁর কথা না শুনলে পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবেন। হুমকি দেওয়ার দুই দিন পর পুলিশ তাঁর স্বামীকে ২০২২ সালের ১১ অক্টোবর বাড়ি থেকে ধরে নিয়ে যায়। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রনি আলম নূরের ভ্রাম্যমাণ আদালতে হাজির করে তাঁর স্বামীকে চার মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় মোখলেছুর তাঁর স্বামীর সঙ্গে দেখা করেন। পরে কারাগার থেকে বের হয়ে চেয়ারম্যানের প্ররোচনায় তাঁর স্বামী আবারও বাধ্য হয়ে মাদক ব্যবসায় জড়ান। নিজেকে যুবলীগের কর্মী হিসেবে পরিচয় দেন।

অভিযোগের বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ‘আমি আইনের লোক। তাই মাদকের বিরুদ্ধে লড়াই করছি। মাদকের বিরুদ্ধে লড়ার কারণে বিক্রেতারা মাদক বিক্রি করতে পারছে না। যে কারণে মাদক ব্যবসায়ীরা মাঝেমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে এমন অভিযোগ করছে। তা ছাড়া সে (নারীর স্বামী) যুবলীগের কেউ নয়।’

সংবাদ সম্মেলনে আক্ষেপ করে ওই নারী বলেন, ‘আমার বড় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে এবং ছেলে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করে। তাদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে স্বামীকে অন্ধকার থেকে আলোর পথে ফেরাতে চাই। সম্প্রতি চেয়ারম্যানের লোকজন বাড়িতে এসে তাঁর স্বামীর খোঁজ করে। তাঁকে না পেয়ে বাড়ির বাক্সের তালা ভেঙে এক বিঘা জমি বন্ধক নেওয়ার স্ট্যাম্পসহ শ্বশুরের গরু বিক্রির ৮৩ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এরপরও চেয়ারম্যানের পালিত গুন্ডারা তাঁর স্বামীকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।’