চট্টগ্রামে ইনকিলাব মঞ্চের সর্বাত্মক অবরোধ শুরু
শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে চট্টগ্রামে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ রোববার বেলা দুইটায় চট্টগ্রাম নগরের শাহ আমানত সেতু এলাকায় এই কর্মসূচি শুরু হয়। এ সময় কক্সবাজার, বান্দরবানসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামমুখী বাসসহ সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
সেতু এলাকায় অবস্থান নিয়ে মঞ্চের নেতা-কর্মীরা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদির হত্যাকারীদের বিচারের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দিচ্ছেন। এ সময় ‘বিচার বিচার বিচার চাই, হাদি হত্যার বিচার চাই’, ‘জাস্টিস জাস্টিস, উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, যুগে যুগে লড়ে যাব’সহ বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকেন নেতা-কর্মীরা।
অবরোধস্থল থেকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক রাফসান রাকিব প্রথম আলোকে বলেন, ওসমান হাদি হত্যার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত তাঁদের কর্মসূচি চলবে। অবরোধে কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে তিনি জানান।
ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা গত শুক্রবার বাদ জুমা রাজধানী ঢাকার শাহবাগ মোড় অবস্থান নেন। শহীদ হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সারা রাত তাঁরা সেখানেই অবস্থান করেন। এরপর গতকাল সকালে কয়েক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আবার কর্মসূচি শুরু করেন তাঁরা। রাতে চট্টগ্রামসহ বিভাগীয় শহরগুলোতে সর্বাত্মক অবরোধের ডাক দেন মঞ্চের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের। এর পরিপ্রেক্ষিতে আজ কর্মসূচি পালন হচ্ছে চট্টগ্রামে। আজ বেলা দেড়টা থেকেই শাহ আমানত সেতু এলাকায় নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকে।
শহীদ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য প্রার্থী ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।
গত রোববার মানিক মিয়া অ্যাভিনিউতে লাখ লাখ মানুষের অংশগ্রহণে তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদসংলগ্ন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধিস্থলের পাশে দাফন করা হয়।