কষ্টিপাথরের মূর্তি পাচারের জন্য সংরক্ষণ করায় দুজনের কারাদণ্ড

ভ্রাম্যমাণ আদালত
প্রতীকী ছবি

মাদারীপুরে চার কোটি টাকা মূল্যের কষ্টিপাথরের মূর্তি পাচারের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ করার দায়ে দুই ব্যক্তিকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক লায়লাতুল ফেরদৌস আজ মঙ্গলবার এ রায় দেন।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর গোবিন্দপুর উত্তরকান্দি এলাকার আজিজুল হক ভূঁইয়া (৫৪) ও শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের চর বাঁচামারা এলাকার মনিরুজ্জামান ওরফে টুকু ফরাজী (৫৯)। কারাদণ্ডের পাশাপাশি তাঁদের ১০ হাজার টাকা করে জরিমানা ও তা অনাদায়ে আরও দুই মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণী সূত্রে জানা যায়, ২০১৪ সালের ২৪ অক্টোবর মাদারীপুর সদর উপজেলার খোয়াজপুর ইউনিয়নের চর গোবিন্দপুর উত্তরকান্দি এলাকার আজিজুল হক ভূঁইয়ার বাড়ি থেকে কষ্টিপাথরের একটি বিষ্ণুমূর্তি উদ্ধার করে র‍্যাব। এ সময় আজিজুল হক ভূঁইয়া ও তাঁর সহযোগী মনিরুজ্জামান ওরফে টুকু ফরাজীকেও আটক করা হয়। এ ঘটনায় পরদিন তাঁদের বিরুদ্ধে সদর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন র‌্যাবের কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক। ২০১৫ সালের ৩১ জুলাই ওই দুজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন সদর থানার উপপরিদর্শক সিরাজুল ইসলাম।
দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আজ আজিজুল ও মনিরুজ্জামানকে পাঁচ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করে রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসলি (পিপি) সিদ্দিকুর রহমান সিং বলেন, আজিজুল ও মনিরুজ্জামান অসৎ উদ্দেশ্যে বিক্রির জন্য মূল্যবান কষ্টিপাথরের মূর্তি তাঁদের ঘরে রেখেছেন। আদালত সব সাক্ষ্যপ্রমাণ ও যুক্তিতর্ক শেষে অভিযুক্ত দুজনকেই সাজা দেন।

পিপি আরও জানান, বিষ্ণুমূর্তিটির উচ্চতা ৩০ ইঞ্চি। এর প্রস্থ ১৪ ইঞ্চি। এটি রাষ্ট্রীয় হেফাজতে রয়েছে। এ মামলায় দ্বিতীয় আসামি মনিরুজ্জামান গ্রেপ্তারের পর উচ্চ আদালত থেকে জামিনে বের হন। এর পর থেকে তিনি পলাতক। রায় ঘোষণার সময় মামলার প্রধান আসামি আজিজুল ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন।