আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ও পাঁচ সহযোগী

প্রিজনভ্যান থেকে নামানোর পর আরসাপ্রধান আতাউল্লাহ ও তাঁর ৫ সহযোগী। আজ মঙ্গলবার নারায়ণগঞ্জে আদালত প্রাঙ্গণেছবি: প্রথম আলো

নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দায়ের করা দুই মামলায় মিয়ানমারের রোহিঙ্গাদের সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (আরসা) প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনী ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আট দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। আট দিনের রিমান্ড শেষে আজ মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বেলায়েত হোসেনের আদালতে আসামিদের হাজির করা হলে শুনানি শেষে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেওয়া হয়।

এর আগে বেলা আড়াইটার দিকে কড়া নিরাপত্তার মধ্যে দিয়ে আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনী ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আদালতে হাজির করা হয়। অন্য পাঁচজন হলেন আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনীর সহযোগী মোস্তাক আহমেদ (৬৬), সলিমুল্লাহ (২৭), মো. আসমতউল্লাহ (২৪), হাসান (৪৩) ও মনিরুজ্জামান (২৪)।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ আদালত পুলিশের পরিদর্শক মোহাম্মদ কাইউম প্রথম আলোকে জানান, সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দুই মামলায় আরসার প্রধান আতাউল্লাহ ওরফে আবু আম্মার জুনুনী ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আট দিনের রিমান্ড শেষে আদালতে হাজির করা হলে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দিয়েছেন আদালত। নতুন করে ওই দুই মামলায় রিমান্ড চাওয়া হয়নি।

গত ১৭ মার্চ রাতে নাশকতামূলক কর্মকাণ্ড করতে গোপন বৈঠকের সময় সিদ্ধিরগঞ্জের ভূমি পল্লী আবাসিক এলাকা থেকে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির ছয়জন এবং ময়মনসিংহ থেকে আরও চারজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-১১। তাঁদের কাছ থেকে ২১ লাখ ৩৯ হাজার ১০০ টাকা, একটি চাকু, ধারালো স্টিলের মোটা চেইন ও চারটি হাতঘড়ি জব্দ করা হয়। এ ঘটনার পরদিন ১৮ মার্চ র‍্যাবের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসবিরোধী আইন ও অবৈধ অনুপ্রবেশ আইনে পৃথক দুটি মামলা করা হয়।

মামলা দুটিতে আতাউল্লাহসহ ছয়জনকে ৫ দিন করে মোট ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তবে মামলায় তিন থেকে আট বছর বয়সী পাঁচ শিশুকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়নি। তারা মায়েদের সঙ্গে আছে। ওই ১০ দিনের রিমান্ড শেষে ১৩ এপ্রিল আরসার প্রধান ও তাঁর পাঁচ সহযোগীকে আবার সিদ্ধিরগঞ্জ থানার দুই মামলায় আট দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন আদালত।