ভাইকে অপহরণের মামলায় জামিন পেয়ে বোনকে অপহরণের অভিযোগ

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া চাচাতো বোনকে উত্ত্যক্ত করার প্রতিবাদ করেছিলেন এসএসসি পরীক্ষার্থী ভাই। তাই তাকে অপহরণ করে একটি ইটভাটায় নিয়ে নির্যাতন করেন উত্ত্যক্তকারী মেহেদী পলাশ (২৫)। এ ঘটনায় করা মামলায় জেলেও যান তিনি। সম্প্রতি জামিনে বেরিয়ে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর চাচাতো বোনকে অপহরণ করেন মেহেদী।

বুধবার ভুক্তভোগীর পরিবারের পক্ষ থেকে গোদাগাড়ী থানায় দেওয়া লিখিত অভিযোগে এসব উল্লেখ করা হয়েছে।

অভিযুক্ত মেহেদী পলাশের বাড়ি গোদাগাড়ী উপজেলার লস্করহাটি গ্রামে। তাঁর নামে গোদাগাড়ী থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

অপহরণের শিকার কিশোরীর বাবা দাবি করেন, গতকাল মঙ্গলবার তাঁর মেয়ে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফিরছিল। ওই সময় মেহেদী পলাশসহ কয়েকজন মিলে তাকে জোর করে একটা সিএনজিতে তুলে নিয়ে যান।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, গোদাগাড়ী পৌরসভার গড়েরমাঠ মহল্লার ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর অষ্টম শ্রেণিপড়ুয়া চাচাতো বোনকে দীর্ঘদিন ধরে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন মেহেদী পলাশ। এর প্রতিবাদ করলে গত ৭ সেপ্টেম্বর ছয়-সাতজন সহযোগীকে নিয়ে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীকে অপহরণ করে একটি ইটভাটায় নিয়ে নির্যাতন করেন তিনি। এ ঘটনায় ওই কিশোরের মা ঘটনার দিন রাতে গোদাগাড়ী থানায় মামলা করেন।

এতে মেহেদী পলাশ, মহিশালবাড়ি আলীপুর মহল্লার আবদুল আওয়াল (২৫), গড়েরমাঠের মো. জাহিদ (১৪), মাদারপুর মহল্লার শাহরিয়ার জয়সহ (১৮) আরও তিন-চারজনকে আসামি করা হয়। ওই মামলায় গত ২২ সেপ্টেম্বর মেহেদী পলাশকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। আদালতের মাধ্যমে তাঁকে কারাগারে পাঠানো হয়। কয়েক দিন আগে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে বাড়িতে ফেরেন।

এরপর গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে প্রাইভেট পড়ে বাড়িতে ফেরার পথে উপজেলার পুরোনো জেনারেল হাসপাতালের সামনে থেকে ওই এসএসসি পরীক্ষার্থীর চাচাতো বোনকে অপহরণ করেন মেহেদী।

অভিযোগের বিষয়ে গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামরুজ্জামান বলেন, ‘লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। মেহেদী পলাশকেও বাড়িতে পাওয়া যাচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, সে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। পুলিশ আসামিকে গ্রেপ্তার ও মেয়েটি উদ্ধার করার জন্য চেষ্টা করছে।’