রাজশাহীতে ‘ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করা’ আ.লীগ নেতাকে শোকজ-জরিমানা

আওয়ামী লীগ নেতা আজাহার আলী
ছবি: সংগৃহীত

রাজশাহীর দুর্গাপুরে গতকাল শুক্রবার একটি মসজিদে আওয়ামী লীগের এক নেতা নৌকা প্রতীকে ভোট চাইতে গিয়ে বিএনপির রাজনীতিতে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেছিলেন। তাঁর বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর আচরণবিধি লঙ্ঘনের দায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাঁকে শোকজের পাশাপাশি ৫০০ টাকা জরিমানা করেন। আজ শনিবার তিনি আচরণবিধি ভঙ্গের জন্য সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন।

আওয়ামী লীগের ওই নেতার নাম আজাহার আলী। তিনি দুর্গাপুর পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি। দুর্গাপুর উপজেলার হরিপুর মধ্যপাড়া মসজিদে দাঁড়িয়ে নৌকা প্রতীকের পক্ষে ভোট চাইতে গিয়ে তিনি বিএনপির নেতা-কর্মীদের কেন্দ্রে যেতে নিষেধ করেন। ওই বক্তব্যের জন্য তাঁকে শোকজ ও জরিমানা করা হয়।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে আজাহার আলীকে বলতে শোনা যায়, এই মসজিদের জন্য নৌকা প্রতীকের এবারের প্রার্থী আবদুল ওয়াদুদ আগের মেয়াদে সংসদ সদস্য থাকাকালে পাঁচ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। এবার তিনি আওয়ামী লীগ সমর্থকদের নৌকার প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান। পাশাপাশি তিনি বলেন, যাঁরা বিএনপি করেন তাঁদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার দরকার নেই। তিনি একই কথা হরিপুর পশ্চিমপাড়া মসজিদেও বলেছেন বলেও বক্তব্যে উল্লেখ করেন।

রাজশাহী-৫ (পুঠিয়া-দুর্গাপুর) আসনে এবার মোট ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে নৌকার প্রার্থী রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য আবদুল ওয়াদুদ। এ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন রাজশাহী জেলা যুবলীগের সাবেক সহসভাপতি ওবায়দুর রহমান। তাঁর প্রতীক ঈগল। এ ছাড়া জাতীয় পার্টি, বাংলাদেশ সুপ্রিম পার্টি, গণফ্রন্ট ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের প্রার্থী আছে।

দুর্গাপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কৃষ্ণ চন্দ্র প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার বিকেলেই মৌখিকভাবে কারণ দর্শানোর জন্য বলা হয় এবং আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। তিনি সঙ্গে সঙ্গে জরিমানার টাকা পরিশোধ করেন। আজ তিনি সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত ব্যাখ্যা দিয়েছেন।

জানতে চাইলে আজাহার আলী মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, বিষয়টি মীমাংসা হয়ে গেছে। তিনি আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন। এ জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরে তাঁকে দায় থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।