শরীয়তপুরে বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু

বজ্রপাত
প্রথম আলো ফাইল ছবি

শরীয়তপুরের দুটি উপজেলায় বজ্রপাতে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। আজ বুধবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর ১২টার মধ্যে ভেদরগঞ্জ ও জাজিরা উপজেলায় এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়া তিনজন হলেন ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও গ্রামের নাদিম মুন্সি (২৫), একই উপজেলার উত্তর মহিসার গ্রামের আনোয়ারা বেগম (৫৫) ও জাজিরা উপজেলার উমর উদ্দিন মাতবরকান্দি গ্রামের সিফাত মোল্লা (২১)।

ভেদরগঞ্জ উপজেলার ছয়গাঁও গ্রামের রতন মুন্সির ছেলে নাদিম মুন্সি সৌদি আরবপ্রবাসী। কিছুদিন আগে দেশে আসেন ছুটি কাটাতে। আজ বুধবার সকালে মাছের খাবার (ফিড) নিয়ে নিজেদের খামারের দিকে যাচ্ছিলেন। তখন হালকা বৃষ্টির সঙ্গে হঠাৎ বজ্রপাতে তিনি গুরুতর আহত হন। গ্রামের লোকজন ও পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে ভেদরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাদিমকে মৃত ঘোষণা করেন।

মারা যাওয়া আনোয়ারা বেগম ভেদরগঞ্জের উত্তর মহিসার গ্রামের মোসলেমের স্ত্রী। বৃষ্টি শুরু হলে ফসলি জমি থেকে গরু নিয়ে বাড়িতে ফেরার সময় বজ্রপাতে তিনি মারা যান। এ সময় তাঁর গরুটিও মারা যায়।

মহিসার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান অরুণ হাওলাদার বলেন, ‘আমাদের এলাকার এক গৃহবধূ ও পাশের ইউনিয়নের এক প্রবাসী বজ্রপাতে মারা গেছেন। ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে।’

জাজিরার বড়কান্দি ইউনিয়নের উমর উদ্দিন মাতবরকান্দি গ্রামের জাহাঙ্গীর মোল্লার ছেলে সিফাত মোল্লা কৃষিশ্রমিকের কাজ করেন। বুধবার ফসলের মাঠে কাজ করার সময় বজ্রপাতে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।

সিফাতের খালা সেলিনা আক্তার বলেন, ফসলি জমিতে কাজ করছিলেন সিফাত। হঠাৎ বৃষ্টি শুরু হলে ফসলের মাঠ থেকে আশ্রয়ের জন্য গ্রামে বসতির দিকে ফিরছিলেন। কিন্তু গ্রামে পৌঁছার আগেই বজ্রপাতে তিনি মারা যান।

জাজিরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, বজ্রপাতে এক তরুণের মৃত্যু খবর পেয়েছেন। জাজিরাতে বজ্রপাতে আরেক শিশুর আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয়ের একজন উপসহকারী প্রকৌশলীকে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিষয়টি জেলা প্রশাসককে জানানো হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়া হবে। বৃষ্টি ও বজ্রপাতের সময় যাতে মানুষ খোলা স্থানে না থাকে, এ জন্য সচেতনতামূলক প্রচার চালানো হবে।