কুষ্টিয়ায় সংসদ নির্বাচন করতে ইচ্ছুক যুবক জাহাঙ্গীর আলম। বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের সামনে
ছবি: তৌহিদী হাসান

দুপুর সাড়ে ১২টা। কুষ্টিয়া জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ে ঢুকলেন এক যুবক। হাতে একটি ব্যাগ। ভেতরে কিছু কাগজপত্র। নির্বাচন কর্মকর্তার কাছে ডান হাত বাড়িয়ে দিয়ে নিজের জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি দেখালেন। প্রার্থী হতে চেয়ে বললেন, সদর (কুষ্টিয়া-৩) আসনে বিএনপির প্রার্থী হবেন তিনি।

এ সময় নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ আবু আনছার ওই যুবককে নির্বাচন কার্যালয়ের দ্বিতীয় তলায় যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, সেখানে যে কর্মকর্তা আছেন, তিনি কীভাবে ফরম নেবেন, টাকা জমা দেবেন, এসব ব্যাপারে বিস্তারিত সাহায্য করতে পারবেন। এ সময় ওই যুবক বলেন, তাঁর নামটা যেন অবশ্যই তালিকায় প্রথমেই থাকে। এ জন্য সকাল ৯টার দিকেই কার্যালয়ে এসেছেন তিনি।

জানতে চাইলে প্রথম আলোর প্রতিবেদকের কাছে ওই যুবক নিজেকে কুষ্টিয়া সদর উপজেলার নাজিরপুর গ্রামের বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন। নাম জাহাঙ্গীর আলম। বাবার নাম জামাত মোল্লা। তিন ভাইবোনের মধ্যে সবার ছোট তিনি। কৃষিকাজ করেন। এসএসসি পরীক্ষা দিলেও কৃতকার্য হতে পারেননি।

বিএনপি এখনো নির্বাচনে আসার ঘোষণা দেয়নি—এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘ওনারা যদি নির্বাচন না–ও করে, আমি নির্বাচন করব। আমার এলাকায় আমি গণসংযোগ করেছি। আমি জনগণের কাছে গিইছি, বাড়ি বাড়ি ভোট চাইছি। আমি ধানের শীষ প্রতীকেই দাঁড়াব। তারপরও যদি বিএনপি নিষেধ করে বা কোনো সমস্যার কথা বলে, সেইডি পরে বিবেচনা করে দেখব।’

নির্বাচন করার কারণ জানতে চাইলে জাহাঙ্গীর বলেন, ‘গতবার আমি ভোট দিতি গিই সমস্যা হয়েছিল। আমাকে বলা হয়েছিল, “নির্বাচনে প্রচারণা করো, নির্বাচনে অংশ নিতে পারবা, এমপি পদে যেতে পারবা।” এ জন্য ছয় মাস যাবৎ এই অফিসে যাতায়াত করছি।’ এলাকায় তাঁর যোগাযোগ ও গণসংযোগ আছে জানিয়ে বলেন, ‘ফেসবুক আইডিতে অনেক কিছু ছাড়ি। লাইকও বেশি পাই।’