চুয়াডাঙ্গায় চাল বিক্রিতে অনিয়ম, তিন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় চাল বিক্রিতে অনিয়মের অভিযোগে তিন চালকলের মালিককে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চুয়াডাঙ্গার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ সোমবার বিকেলে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে চালকল ও চালের আড়তে এই অভিযান পরিচালনা করেন।
জরিমানা করা প্রতিষ্ঠানগুলো হচ্ছে জীবননগরের লক্ষ্মীপুর এলাকার মেসার্স একতা ট্রেডার্স (চালের আড়ত), মেসার্স দেশ বাংলা অটো রাইস মিল (চালকল) ও পেয়ারাতলার মেসার্স সততা অটো রাইস মিল (চালকল)।
ভোক্তা অধিকার আইন ২০০৯-এর ৪৫ ও ৫০ ধারা অনুযায়ী এই জরিমানা করা হয় এবং প্রতিষ্ঠানের মালিকেরা জরিমানার অর্থ তাৎক্ষণিক পরিশোধ করেন। অভিযানে জীবননগর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আনিসুর রহমান এবং জীবননগর থানার একটি দল সহযোগিতা করে।
অভিযানকারী দলটি রাতে প্রথম আলোকে জানায়, সোমবার বিকেলে জীবননগরের মেসার্স একতা ট্রেডার্সে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় সেখানে বেচাকেনার কোনো ভাউচার পাওয়া যায়নি। এ ছাড়া অতিরিক্ত লাভে চাল বিক্রির অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়। এ সময় প্রতিষ্ঠানের মালিককে ভোক্তা অধিকার আইনে ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। মেসার্স দেশ বাংলা অটো রাইস মিলে অভিযান চলকালে ভারতীয় ব্র্যান্ডের নাম লেখা প্লাস্টিকের বস্তায় চাল ভর্তি করতে দেখা যায়। সেই সঙ্গে সেখানে কোনো মূল্যতালিকা প্রদর্শন না করায় ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। একইভাবে মেসার্স সততা অটো রাইস মিলকেও ৭০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
সজল আহমেদ বলেন, অটো রাইস মিল দুটিতে ভারতীয় নুরজাহান ব্র্যান্ডের নকল চাল তৈরি ও বিপণন করা হচ্ছিল। একই ঘটনায় এর আগে দেশ বাংলা অটো রাইস মিলকে সতর্ক করার পরও পুনরায় তারা ক্রেতাদের ঠকানোর কাজে নামে। তিনি বলেন, এসব চালকলের মালিককে নকল ব্র্যান্ডের প্লাস্টিকের বস্তা খুলে নিজ ব্র্যান্ডে চটের বস্তায় চাল বিক্রির জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এরপরও যদি তাঁরা এ ধরনের ঘটনা ঘটান, তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।