মুন্সিগঞ্জে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশে সংঘর্ষ, দুই কর্মীকে কুপিয়ে জখম

প্রতীকী ছবি

মুন্সিগঞ্জের সদর উপজেলায় আওয়ামী লীগের শাস্তি সমাবেশে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে দুই নেতার কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় প্রতিপক্ষের ছুরিকাঘাতে দুজন আহত হয়েছেন। আজ রোববার বিকেলে শহরের সুপারমার্কেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহত দুই কর্মী হলেন মো. সজল (২৬) ও মো. রুবেল (৩৭)। তাঁরা দুজন সদর উপজেলার পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের সমর্থক। ঘটনার পরপরই ওই দুজনকে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সজলের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, বিকেলে সেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাতটি সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে বিএনপি-জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদ এবং আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন নিয়ে শান্তি সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শহরের মুক্তিযুদ্ধ কমপ্লেক্স–সংলগ্ন সড়কে সমাবেশ চলছিল। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাস। সমাবেশে বক্তব্য চলাকালে সংসদ সদস্যের আস্থাভাজন শহর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন ও পঞ্চসার ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি জাহিদ হাসানের সমর্থকেরা চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে হাতাহাতি ও চেয়ার ছোড়াছুড়ি শুরু করেন। দুজনের সমর্থকেরা এক পর্যায়ে ধারালো অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে জড়ান।

এ সময় মকবুলের সমর্থকেরা জাহিদ হাসানের সমর্থক সজলের শরীরের বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে আহত করেন। এ সময় রুবেল নামের আরেক কর্মীও আহত হন। পরে উপস্থিত নেতা–কর্মীরা আহত দুজনকে উদ্ধার করে মুন্সিগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক রুহুল আমিন প্রথম আলোকে বলেন, সন্ধ্যা পাঁচটার দিকে আহত অবস্থায় দুজনকে হাসপাতালে আনা হয়। তাঁদের মধ্যে সজল নামের একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। তাঁর শরীর, পায়ে ও মাথার বিভিন্ন অংশে ধারালো অস্ত্রের আঘাত রয়েছে।

এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতা মকবুল হোসেন, যুবলীগের নেতা জাহিদ হাসান ও সংসদ সদস্য মৃণাল কান্তি দাসের মুঠোফোনে কল করা হলে তাঁরা কেউ ধরেননি। মুন্সিগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, ‘সমাবেশে চেয়ারে বসাকে কেন্দ্র করে ওই দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ছুরিকাঘাতে আহত হওয়ার খবর শুনেছি। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’