নারায়ণগঞ্জে ফেরদৌসী আলমের অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবি পাটমন্ত্রীর

নারায়ণগঞ্জ জেলার মানচিত্র

নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদবিষয়ক সম্পাদকসহ দলীয় সব পদ থেকে ফেরদৌসী আলম ওরফে নীলাকে দেওয়া অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী এবং নারায়ণগঞ্জ-১ আসনের সংসদ সদস্য গোলাম দস্তগীর গাজী।

বৃহস্পতিবার দুপুরে নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সভায় মন্ত্রী এ দাবি জানান। আড়াইহাজার উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সভায় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই সভাপতিত্ব করেন।

ফেরদৌসী আলমের অব্যাহতিপ্রক্রিয়া দলীয় গঠনতন্ত্রবিরোধী হয়েছে মন্তব্য করে গোলাম দস্তগীর বলেন, ফেরদৌসীর বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ থাকলে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া যেত, কেন্দ্রে জানানো যেত। তা না করে সরাসরি অব্যাহতি দিয়ে দেওয়া হলো। নির্বাচনের আগে এটা করা উচিত হয়নি। এতে দল দুর্বল হয়েছে, বিএনপির হাতে একটি অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছে। তারা এখন মাঠে নেমে এসব বলে বেড়াবে।

দলীয় বিভাজনের কারণে ফেরদৌসী আলমকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে দাবি করে পাটমন্ত্রী বলেন, ‘ফেরদৌসী যদি কোনো রাজনৈতিক অপরাধ করে থাকেন, তবে সেটা ভিন্ন বিষয়। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ সেটা রাজউকের বিষয়। রাজউক বিষয়টি দেখবে। আমরা দল থেকে তাঁর কাছে এর ব্যাখ্যা চাইতে পারতাম।’

এ সময় পাশে বসা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির উদ্দেশে গোলাম দস্তগীর গাজী বলেন, ‘আপনি বহিষ্কারের জন্য কোনো চিঠি পেয়েছেন? চিঠি পাননি। আপনি কার্যকরী সদস্যদেরও অনুমতি নেননি। তাহলে এই সদস্যদের কী মূল্য আছে?’

পাটমন্ত্রী সভায় উপস্থিত নেতাদের ফেরদৌসী আলমের অব্যাহতি প্রত্যাহারের বিষয়ে মতামত চান। উপস্থিত সদস্যদের কেউ কেউ তখন হাত তুলে মন্ত্রীর বক্তব্যের প্রতি সমর্থন জানান।

জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু হাসনাত ওরফে মো. শহীদ বাদলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সুফিয়ান, কার্যকরী সদস্য আবদুল্লাহ আল কায়সার, আনিসুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

৪ আগস্ট সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে ফেরদৌসী আলমকে দলের সব পদ থেকে অব্যাহতি দেয় জেলা আওয়ামী লীগ।

ফেরদৌসী আলমের অব্যাহতি প্রত্যাহারের দাবি বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নির্দেশেই তাঁকে প্রত্যাহার করেছি। গঠনতন্ত্রের বাইরে গিয়ে কিছু করিনি।’