নাম পরিবর্তন করে পালিয়ে ছিলেন যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি

র‍্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি সুরুজ মিয়া
ছবি: সংগৃহীত

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলায় একটি হত্যা মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল সুরুজ মিয়া নামের এক আসামির। তবে এত দিন তাঁকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। জাতীয় পরিচয়পত্রে নাম পরিবর্তন করে পালিয়ে ছিলেন। কখনো কাজ করতেন দিনমজুর হিসেবে, কখনো ছিলেন কাঠমিস্ত্রি বা পোশাক কারখানার শ্রমিক। তবে শেষ রক্ষা হয়নি। ধরা খেতে হলো র‍্যাবের হাতে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে ঢাকার সাভারের আশুলিয়ার পলাশবাড়ি এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

কারাদণ্ডপ্রাপ্ত সুরুজ মিয়ার বাড়ি শিবালয় উপজেলার তেওতা গ্রামে। তিনি আশুলিয়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থাকতেন। র‍্যাব জানায়, ২০১৪ সালের ২৩ মে বিকেলে পুরোনো বাইসাইকেল কেনাবেচা নিয়ে বিরোধের জের ধরে তেওতা গ্রামের টুটুল মিয়াকে সুরুজ মিয়াসহ কয়েকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেন। এরপর লাশ গুম করতে স্থানীয় জমিদারবাড়ির অন্ধকূপে ফেলে হত্যাকারীরা পালিয়ে যান। হত্যাকাণ্ডের এক সপ্তাহ পর স্থানীয় বাসিন্দাদের সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ওই কূপ থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে।

ওই বছরের ১ জুন নিহত টুটুল মিয়ার বাবা আরমান আলী বাদী হয়ে সুরুজ মিয়া, সুজন মিয়া, লিটন মিয়া, মোক্তার হোসেন, রাজু আহমেদ, আবু তালেবসহ ১০ জনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। এ ঘটনায় আসামি সুরুজ মিয়াকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে জামিনে বের হয়ে তিনি আত্মগোপনে চলে যান। ২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামি সুরুজ মিয়ার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন। এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আসামির অনুস্থিতে তাঁকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেন।

র‍্যাব-৪–এর সিপিসি-৩–এর মানিকগঞ্জ ক্যাম্পের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. আরিফ হোসেন বলেন, হত্যা মামলায় জামিন পাওয়ার পর আসামি সুরুজ মিয়া ঢাকায় আত্মগোপন করেন। পরে জাতীয় পরিচয়পত্রে নিজের নাম পরিবর্তন করেন। গ্রেপ্তার এড়াতে তিনি দিনমজুর, কাঠমিস্ত্রি এবং পোশাক কারখানায় কাজ করেছেন। আজ বুধবার দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিকে শিবালয় থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।