শৈলকুপা থানায় হামলা, আহত ১২ জন কুষ্টিয়ায় পুলিশ পাহারায় চিকিৎসাধীন

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলার ঘটনায় আহতদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হয়
ছবি: প্রথম আলো

ঝিনাইদহের শৈলকুপা থানায় হামলার ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় লোকজনের সংঘর্ষে আহত অন্তত ১২ জনকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। আজ রোববার রাত পর্যন্ত ওই হাসপাতালে একে একে ১২ জন রোগী এসে ভর্তি হন। তাঁদের মধ্যে চারজন গুলিবিদ্ধ রোগী রয়েছেন। তাঁদের একজনকে ঢাকায় উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।

হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ব্যক্তিরা হলেন, ঝিনাইদহ শৈলকুপা উপজেলার ধাওড়া গ্রামের আবদুল আজিজ (৬৩), আলী আকবর (১৭), জান্নাত হোসেন (২৬), মুহিম শিকদার (১৬), রাজিব (১৯), হারুন (৩৫), কুতুব উদ্দিন (২২), আ. ওহাব আলী (৫২), সাব্বির হোসেন (১৭), আলামিন (৩০), আকরাম হোসেন (৩৮) ও আবদুস সালাম (৬৫)।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, আজ বিকেলের দিকে একের পর এক আহত ব্যক্তি কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আসতে থাকেন। তাঁরা সবাই আঘাতপ্রাপ্ত ও রক্তাক্ত ছিলেন। ১৩ জনের মতো আহত ব্যক্তিদের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল। কেউ জরুরি বিভাগে, আবার কেউ ওয়ার্ডে ভর্তি ছিলেন। কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ হাসপাতালে আসে। চিকিৎসাধীন ব্যক্তিদের নাম–ঠিকানা সংগ্রহ করে এবং কয়েকজনকে আলাদাভাবে রাখে। তাঁদের মধ্যে গুলিবিদ্ধ একজনকে চিকিৎসক ঢাকায় পাঠান।

কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা তাপস কুমার সরকার প্রথম আলোকে বলেন, গুরুতর আহত অবস্থায় ফিরোজ শিকদার নামের গুলিবিদ্ধ একজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। তাঁর অবস্থা গুরুতর। অন্যদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

পুলিশ জানায়, শৈলকুপায় আওয়ামী লীগের কর্মী ও ধলহরা চন্দ্র ইউনিয়নের ধাওড়া গ্রামের মোস্তাক সিকদারকে দুপুরে আটক করে পুলিশ। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা বেলা সাড়ে তিনটার দিকে শৈলকুপা থানা ঘেরাও করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকেন। এতে পুলিশের কয়েকজন সদস্য আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশও ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে হামলাকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যান। এ ঘটনায় পাঁচ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।

কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস ও মিডিয়া) পলাশ কান্তি নাথ বলেন, শৈলকুপা থানায় ও পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় আহত ব্যক্তিদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের আটক করা হয়েছে কি না জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, আগে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যেহেতু এটা অন্য জেলার ঘটনা, সেহেতু আহত ব্যক্তিদের কেউ হামলার সঙ্গে জড়িত থাকলে এ বিষয়ে নির্দেশ পেলে তদন্ত করে তাঁদের আটক করা হবে।