সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা
দিনাজপুরে জাতীয় সংসদের সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রবিউল ইসলাম নামের এক শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় তাঁর ভাই মো. রিয়াদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় মামলাটি করেন।
৫ আগস্ট সরকার পতনের পর ইকবালুর রহিমের বিরুদ্ধে মোট ৩টি হত্যা মামলা করা হলো।
মামলায় ইকবালুর রহিমসহ ১০৫ জনের নাম উল্লেখসহ ৫০০-৬০০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ইকবালুর রহিমের ভাই এম ইনায়েতুর রহিম (সাবেক বিচারপতি), উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার ও আবু হোসাইন, ইউপি চেয়ারম্যান অভিজিৎ বসাক, মমিনুল ইসলাম, মো. রানা, আতাউর রহমান, জর্জিস সোহেল ও মোস্তফা কামাল, হাজী দানেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য রুহুল আমীন, আওয়ামী লীগ নেতা আলতাফুজ্জামান, বিশ্বজিৎ ঘোষ, ফরিদুল ইসলাম প্রমুখ।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট সকাল থেকে দিনাজপুরে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে যোগ দিয়ে সরকার পতনের এক দফা দাবিতে মিছিলে অংশ নেন। দুপুর ১২টায় মিছিলটি দিনাজপুর জিলা স্কুলের সামনে থেকে কোর্ট চত্বরের সামনে পৌঁছায়। তখন ইকবালুর রহিম ও তাঁর ভাই ইনায়েতুর রহিমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচনায় ও উসকানিতে আওয়ামী লীগের লোকজন মিছিলের ওপর হামলা করেন। হামলাকারীদের হাতে পিস্তল, রিভলভার, হাঁসুয়া, বন্দুকসহ দেশি অস্ত্র ছিল। তাঁরা শিক্ষার্থীদের ওপর এলোপাতাড়ি গুলি ছোড়েন। এ সময় কয়েকজন গুলিবিদ্ধ হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রবিউল ইসলামের (রাহুল) মৃত্যু হয়।
নিহত রবিউল ইসলাম দিনাজপুর সদর উপজেলার ফাজিলপুর ইউনিয়নের বিদুরশাই মহারাজপুর এলাকার মোসলেমউদ্দিনের ছেলে। সে রানীগঞ্জ এহিয়া স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণিতে পড়ত। ৪ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে গুলিবিদ্ধ হয় রবিউল। সেদিন প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে সে বাড়িতে যায়। দুদিন পর আবারও তাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৯ আগস্ট সন্ধ্যায় তার মৃত্যু হয়।
৫ আগস্ট শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও দেশ ছাড়ার পর সাবেক হুইপ ইকবালুর রহিমসহ আওয়ামী লীগ নেতা–কর্মীদের বিরুদ্ধে মোট তিনটি হত্যা মামলা করা হয়েছে। এর আগে তাঁদের বিরুদ্ধে ১৯ ও ২৫ আগস্ট দুটি হত্যা মামলা করা হয়েছিল।