সরাইলে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে তরুণ নিহত

গণপিটুনি
প্রতীকী ছবি

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইল উপজেলায় গভীর রাতে গণপিটুনিতে বজলু মিয়া (২৫) নামের এক তরুণ নিহত হয়েছেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার চুন্টা ইউনিয়নের লোপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছেন সুজন মিয়া (২৪) নামের আরেক তরুণ। বজলু মিয়া লোপাড়া গ্রামের আলী আফজলের ছেলে।

পুলিশ আজ মঙ্গলবার সকালে ওই যুবকের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। স্থানীয় লোকজন চুরির অভিযোগ এনে তাঁদের পিটুনি দেন বলে জানা গেছে।

থানা-পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে বজলু মিয়া, সুজন মিয়াসহ কয়েকজন তরুণ লোপাড়া গ্রামের হাজেরা বেগম ও আবদু মিয়ার বাড়িতে প্রবেশ করেন। এ সময় বাড়ির লোকজন বহিরাগত ব্যক্তিদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকেন। পরে আশপাশের লোকজন বজলু মিয়া ও সুজন মিয়াকে আটক করে পিটুনি দেন। অন্যরা পালিয়ে যায়। পিটুনিতে বজলু মিয়া ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। গুরুতর আহত সুজন মিয়াকে স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

গ্রামের ইউপি সদস্য আবদুল হাই প্রথম আলোকে বলেন, ‘নিহত বজলু মিয়া ও তাঁর সঙ্গে চলাফেরা করে, এমন বেশ কয়েকজন তরুণের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। তবে এভাবে একজন তরুণকে পিটিয়ে হত্যা করা উচিত হয়নি।’

সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ এমরানুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, নিহত ও আহত তরুণের বিরুদ্ধে এলাকায় নানা অপরাধের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগ আছে। তবে যাঁরা নিজের হাতে আইন তুলে নিয়েছেন, তাঁরা দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ঘটনার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিরা গা ঢাকা দিয়েছেন। এ ব্যাপারে থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে। নিহত বজলু মিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে।