৭ তারিখে বিশৃঙ্খলা করলে তাঁদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়া হবে: কাদের মির্জা

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর আলোচনা সভায় বক্তব্য দিচ্ছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়েছবি: প্রথম আলো

৭ জানুয়ারি নির্বাচনের দিন কেউ বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাঁদের বাড়িঘরে আগুন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ ঘোষণা দেন।

আবদুল কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই। ওবায়দুল কাদের নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট) আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী। তিনি ছাড়াও ওই আসনে জাতীয় পার্টির খাজা তানভীর আহমেদসহ চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আবদুল কাদের মির্জা বলেন, ‘৭ তারিখ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এ নির্বাচনে তোমাদের প্রথম ও প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে, কোনো অবস্থায় বিএনপি-জামায়াত কেন্দ্রের আশপাশে আসতে পারবে না। তোমরা যে যে কেন্দ্রের মধ্যে পড়ো, সেই কেন্দ্রের প্রস্তুতি নিয়া এটা প্রতিহত করতে হবে। কোনো অবস্থায় তাঁরা যাতে কেন্দ্রে কৌশল করে অন্য প্রার্থী ওপর ভর করে ঢুকে সেখানে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে সজাগ থাকতে হবে।’

কাদের মির্জা বলেন, ‘ছাত্রলীগের যে কমিটিগুলো করার কথা বলেছি, তাঁদের আজকে দায়িত্ব দিয়ে দিবা যার যার এলাকায়, অন্য এলাকায় যাওয়ার দরকার নাই। যার কেন্দ্র সে রক্ষা করবে। কেন্দ্র রক্ষা করতে হবে। আর তোমাদের সজাগ থাকতে হবে। আমাদের প্রতিপক্ষ প্রার্থীরা, তাঁদের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো কথা নাই। কিন্তু তাঁদের ওপর ভর করে যাতে জামায়াত-বিএনপি কেন্দ্রে না যেতে পারে।’

সেতুমন্ত্রীর ভাই আরও বলেন, ‘আজকে থেকে যার যার এলাকায় অতন্দ্রপ্রহরীর মতো থাকতে হবে, যাতে জামায়াত-বিএনপি এলাকায় না আসতে পারে। এলাকায় এসে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে, সেদিকে নজর রাখবে। আর একটা কথা বলি, সেটা হচ্ছে, স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলাম, যদি ৭ তারিখ কোনো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হয়, যাঁরা করবেন তাঁরা যে–ই হোক, তাঁদের বাড়িঘরে আগুন লাগিয়ে দেওয়া হবে। কোম্পানীগঞ্জের মাটি তাঁদের ত্যাগ করতে হবে এবং কোম্পানীগঞ্জের মাটি তাঁদের জন্য হারাম হয়ে যাবে।’

আলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।