সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় ২৬ রোহিঙ্গা উদ্ধার, ৫ দালাল আটক

পুলিশের হাতে আটক দালালেরা। বৃহস্পতিবার টেকনাফ মডেল থানায়
ছবি: প্রথম আলো

সমুদ্রপথে অবৈধভাবে মালয়েশিয়ায় পাচারের সময় কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে নারী, শিশুসহ ২৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে উপজেলার মহেষখালীয়া পাড়া থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগে এক নারীসহ পাঁচ দালালকে আটক করে পুলিশ।

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল হালিম বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গতকাল রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়ার মোহাম্মদ শফিকের বাড়ি থেকে ২৬ রোহিঙ্গাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় পাঁচ দালালকে আটক করা হয়। উদ্ধার রোহিঙ্গারা উখিয়ার কুতুপালং ও বালুখালী আশ্রয়শিবিরে বাসিন্দা। তাঁদের মালয়েশিয়ায় পাচারের চেষ্টা চলছিল।

আটক দালালেরা হলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়ার মোহাম্মদ শফিকের স্ত্রী সাবেকুন্নাহার (২৩), একই এলাকার নুরুল ইসলাম (৬০), সাবরাং ইউনিয়নের করাচীপাড়ার আবদুর রহিম (৩৫), জাহেদ হোসেন (২৯) এবং উখিয়ার কুতুপালং ৩ নম্বর আশ্রয়শিবিরের বি-ব্লকের জাহেদ হোসেন (২০)।

ওসি আবদুল হালিম বলেন, রোহিঙ্গাদের একটি দল সমুদ্রপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন পাচারকারীরা। গোপন খবরের ভিত্তিতে পুলিশের একটি দল টেকনাফ সদর ইউনিয়নের মহেষখালীয়া পাড়ার মোহাম্মদ শফিকের বাড়িতে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সেখান থেকে ৮-১০ জন পালানোর চেষ্টা চালায়। এ সময় ১৭ জন পুরুষ, ৪ নারী, ৫ শিশুসহ মোট ২৬ জনকে উদ্ধার করা হয়। একই সঙ্গে পাচারে জড়িত এক নারীসহ পাঁচ দালালকে আটক করা হয়। এ সময় নগদ সাড়ে ৪২ হাজার টাকা ও তাদের ব্যবহৃত ট্রলিব্যাগ জব্দ করা হয়।

উদ্ধার রোহিঙ্গাদের বরাত দিয়ে ওসি বলেন, বিয়ে, ভালো চাকরিসহ বিভিন্ন ধরনের প্রলোভন দেখিয়ে রোহিঙ্গাদের সমুদ্রপথে মালয়েশিয়া নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল দালাল চক্রের। আটক দালালদের মধ্যে চারজন বাংলাদেশি এবং একজন রোহিঙ্গা।

ওসি আবদুল হালিম বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী প্রত্যাবাসন কমিশনার বা সংশ্লিষ্ট শিবিরের দায়িত্বশীল কর্মকর্তাদের কাছে উদ্ধার হওয়া রোহিঙ্গাদের হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে। আটক দালালদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট আইনে টেকনাফ থানায় মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।