পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ‘বিএনপিপন্থী হওয়ায়’ কার্যালয়ে তালা দিল ছাত্রলীগ

চার দাবিতে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অফিসে তালা দিয়েছে ছাত্রলীগ
ছবি: প্রথম আলো

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক মো. সালাউদ্দিন ‘বিএনপিপন্থী হওয়ায়’ তাঁর অপসারণের দাবিতে কার্যালয়ে তালা দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ে এই তালা দেওয়া হয়। দুপুর সোয়া ১২টার দিকে এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত কার্যালয় খোলা হয়নি। এ ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সব পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে গেছে।

কার্যালয়ে তালা দেওয়ার আগে চারটি দাবির কথা জানিয়েছে ছাত্রলীগ। এগুলো হলো—পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের অপসারণ, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ে শিক্ষার্থীদের ভোগান্তি দূর করা, সনদে মানসম্মত কাগজ ব্যবহার করা ও শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আচরণ ভালো করা।

বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আকতারুজ্জামান সোহেল আজ দুপুর ১২টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, অধ্যাপক সালাউদ্দিন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক রাজনীতি করতেন। তিনি স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির হওয়ায় এবং সমাবর্তনের সনদে নিম্নমানের কাগজ ব্যবহারের কারণে সবাই ক্ষুব্ধ ছিলেন। স্বাধীনতাবিরোধীকে দায়িত্বশীল পদে দেওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাঁর কার্যালয় অবরোধ করেছেন।

পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের কার্যালয় অবরোধে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি এনামুল হক, আরিফ প্রীতম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আররাফি চৌধুরীসহ বেশ কয়েকজন নেতা। তাঁরা কার্যালয়ের সামনে অবস্থান করছেন।

যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আররাফি চৌধুরী বলেন, ‘স্বাধীনতাবিরোধী কোনো শক্তি যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকতে পারে, সে জন্য আমরা পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অফিস ঘেরাও করেছি। আমরা জানতে পেরেছি, তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের একাধিক বিবৃতিতে তাঁর নাম উল্লেখ আছে। আমরা চাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শবিরোধী কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ের গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকুক। আমরা তাঁর অপসারণের দাবি জানাই।’

এ বিষয়ে কথা বলতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নুরুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।

বেলা ১১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান ঘটনাস্থলে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। এ সময় দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত অবরোধ চালিয়ে যাবেন বলে জানান তাঁরা।