শাস্তির সুপারিশ আমলে নিচ্ছেন না তাঁরা

নির্বাচনে অংশ নেওয়া বিএনপিপন্থী আট কাউন্সিলর প্রার্থীকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়জনই সাবেক নেতা।

সিটি নির্বাচন
প্রতীকী ছবি

খুলনা সিটি নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে কাউন্সিলর পদে প্রার্থী হওয়ায় আটজনকে আজীবন বহিষ্কারের জন্য কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ পাঠিয়েছে খুলনা বিএনপি। পদধারী দুজনের বাইরের চারজন প্রার্থী আগেই দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। বাকি দুজন দুই দশকের বেশি সময় ধরে রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। এ কারণে দলীয় শাস্তি পেতে যাওয়া প্রার্থীরা বিষয়টিকে আমলে নিচ্ছেন না।

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, এবারের সিটি নির্বাচনে ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য শেখ সাজ্জাদ হোসেন, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী নগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য আশফাকুর রহমান, ২২ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব কায়সার, ৯ নম্বর ওয়ার্ডে মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফজলুল কবীর, ২৪ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের আলী, ৩০ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহ আমান, ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী এ কে এম মোসফেকুস সালেহীন ও ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মহানগর বিএনপির সাবেক সমবায়বিষয়ক সম্পাদক মাজেদা খাতুনকে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের দায়ে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা হয়েছে।

গত ২৯ এপ্রিল খুলনা মহানগর বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় সিটি নির্বাচনে দলের কোনো নেতা–কর্মী অংশ নিতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এমনকি কোনো প্রার্থীর পক্ষে তাঁরা প্রচার চালাতে পারবেন না। নির্বাচনে কারও অংশ নেওয়ার প্রমাণ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়।

স্থানীয় ও দলীয় সূত্রে জানা গেছে, দল থেকে বহিষ্কারের জন্য সুপারিশ করা ২৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী শমসের আলীর প্রার্থিতা ইতি মধ্যে বাতিল হয়েছে। আপিল করেও তিনি প্রার্থিতা ফেরত পাননি। তিনি বছর দেড়েক আগেই দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ৯ নম্বর সংরক্ষিত ওয়ার্ডের প্রার্থী মাজেদা খাতুন ও ২২ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর নগর বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব কায়সারও ওই একই সময়ে দল থেকে পদত্যাগ করেন।

বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য আলী আসগর লবীর অনুসারী ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমান উল্লাহও ২০ বছরের বেশি সময় ধরে দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে বিএনপি তাঁকে সমর্থন দিয়েছিল। ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক কাজী ফজলুল কবীরকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। ১৪ নম্বর ওয়ার্ডের প্রার্থী এ কে এম মোসফেকুস সালেহীন একসময় ছাত্রদলের রাজনীতি করলেও ২৩ বছরের বেশি সময় ধরে তিনি দলীয় রাজনীতিতে নিষ্ক্রিয়।