ফকিরহাটে সড়কের পাশে পাওয়া লাশের ব্যাপারে যা জানাল পিবিআই

বাগেরহাটের ফকিরহাটে অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আটক লিটন গাজীকে নিয়ে ঘটনাস্থলে পিবিআইছবি: প্রথম আলো

বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশ থেকে লাশ উদ্ধার হওয়া নারীর পরিচয় মিলেছে। তাঁর নাম হামিদা বেগম। খুলনার দাকোপ উপজেলার দোপাধী রামনগর এলাকার বারেক গাজীর মেয়ে তিনি। পরকীয়ার জেরে তাঁর স্বামী লিটন গাজী তাঁকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ সড়কের পাশে ঝোপে ফেলে যান।

আজ শনিবার দুপুরে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) বাগেরহাট কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহমান এসব তথ্য জানান।

অভিযুক্ত লিটন গাজীকে আটকের পর তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের বরাত দিয়ে এসব তথ্য জানায় পিবিআই। লিটন গাজী খুলনার কয়রা উপজেলার চরধোপাখালী গ্রামের জি এম শরিফুল গাজীর ছেলে।

পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, ওই নারীর স্বামী লিটন গাজীকে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তাঁর স্ত্রী হামিদাকে হত্যার কথা স্বীকার করেছেন। গতকাল শুক্রবার বিকেলে বাগেরহাটের ফকিরহাট উপজেলার শুকদাড়া এলাকায় খুলনা-মোংলা মহাসড়কের পাশের ঝোপ থেকে অজ্ঞাত হিসেবে হামিদা বেগমের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এরপর পিবিআইয়ের বাগেরহাট কার্যালয় হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন ও নিহত নারীর পরিচয় শনাক্তে কাজ শুরু করে।

মোহাম্মদ আবদুর রহমান বলেন, গতকাল রাতে লিটন গাজীকে আটক করে পিবিআই। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হামিদার মুঠোফোনসহ আলামত জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিটন জানান, আড়াই বছর আগে হামিদার সঙ্গে তাঁর বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন যেতে না যেতেই হামিদা পরকীয়ায় জড়ান। বিষয়টি মেনে নিতে না পেরে ৪ জানুয়ারি কৌশলে হামিদাকে শুকদাড়া এলাকায় নিয়ে আসেন তিনি। সেখানে একটি বাগানে নিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে তাঁকে হত্যা করে পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় লিটন গাজীকে আসামি করে ফকিরহাট থানায় মামলা করা হয়েছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে লিটনকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলে জানানো হয়।

এদিকে আজ বাগেরহাট জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্ত শেষে নিহত হামিদার লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।