দাদাবাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ শিশুর লাশ মিলল ডোবায়, হত্যা বলে সন্দেহ
বরিশালের গৌরনদী উপজেলার সরিকল ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামে দাদাবাড়িতে বেড়াতে এসে নিখোঁজ হয়েছিল সাত বছর বয়সী শিশু সাফওয়ান। ১৬ ঘণ্টা পর আজ বৃহস্পতিবার সকালে বাড়ির পেছনের একটি ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
শিশুটির চোখে ও কানে আঘাতের চিহ্ন থাকায় তাকে হত্যা করা হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গতকাল বুধবার দুপুরে পাশের বাড়ির শিশুদের সঙ্গে খেলতে যাওয়ার পর আর বাড়িতে ফিরে আসেনি সে। সাফওয়ান সরিকল ইউনিয়নের মধ্য হোসনাবাদ গ্রামের ইমরান হোসেন সিকদারের ছেলে। ইমরান সিকদার ট্রান্সকম গ্রুপের কর্মকর্তা, তিনি ঢাকায় কর্মরত। সম্প্রতি দাদার বাড়িতে বেড়াতে এসেছিল সাফওয়ান।
স্বজনদের অভিযোগ, সাফওয়ানকে হত্যা করে লাশ ডোবায় ফেলে রাখা হয়েছে। প্রতিবেশী লোকমান চৌধুরীর সঙ্গে নিহত সাফওয়ানের দাদা আবদুল বারেক সিকদারের জমির সীমানা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল।
এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে একই বাড়ির রোমান চৌধুরী (২৮) এবং প্রতিবেশী ইউপি সদস্য মোফাজ্জেল হককে (৫২) আটক করেছে গৌরনদী মডেল থানা-পুলিশ। খবর পেয়ে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
পুলিশ জানায়, গতকাল বেলা দুইটার দিকে স্থানীয় অন্য শিশুদের সঙ্গে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সাফওয়ান। পরে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে না পেয়ে রাতেই থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সাফওয়ানের দাদা আবদুল বারেক সিকদার। এরপর আজ ভোর ছয়টার দিকে স্থানীয় মান্না ব্যাপারীর ভবনের পেছনের একটি ডোবায় সাফওয়ানের লাশ দেখতে পান এলাকাবাসী। খবর পেয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
গৌরনদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইউনুস মিয়া সন্ধ্যায় প্রথম আলোকে বলেন, সাফওয়ানের লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির চোখ ও কানের নিচে আঘাতের চিহ্ন আছে। কীভাবে তার মৃত্যু হয়েছে, ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন না পেলে বলা যাবে না।
ওসি ইউনুস মিয়া বলেন, স্থানীয় লোকজনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে স্থানীয় লোকমান চৌধুরীর ছেলে রুমান চৌধুরী এবং সরিকল ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মোজাম্মেল হককে বিকেলে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় শিশুটির বাবা হত্যা মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।