বাগমারায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের ওপর হামলা ও হুমকির অভিযোগ

রাজশাহী জেলার মানচিত্র

রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের কয়েকজন সমর্থকের বাড়িতে হামলা হয়েছে। ভুক্তভোগীরা বলেন, গতকাল সোমবার নৌকার কর্মীরা তাঁদের ওপর এ হামলা চালান। পুলিশ বলেছে, থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার কাজ করছে পুলিশ।

রাজশাহী-৪ (বাগমারা) আসনে এবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ। তিনি আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক কেন্দ্রীয় উপকমিটির সদস্য। তিনি পেয়েছেন ১ লাখ ৭ হাজার ৯৮৩ ভোট। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য এনামুল হক পেয়েছেন ৫৩ হাজার ৮১২ ভোট। এনামুল হক তিনবার সংসদ সদস্য ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের বাগমারা উপজেলা শাখার সভাপতি। এবার দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এনামুল হকের সমর্থকেরা বলেন, উপজেলার গোয়ালকান্দি ইউনিয়নের সমসপাড়া ও চেউখালী এলাকায় কিছু অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে সমসপাড়া গ্রামের মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে হামলা হয়েছে। একই এলাকার শাহাবুর, আয়ূব আলী বাবুলকে মারধর করা হয়েছে। এ ছাড়া শ্রীপুরে আবদুর রাজ্জাক নামের এক সমর্থককে পিটিয়ে পা ভেঙে দেওয়া হয়েছে। তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও কয়েকজনকে হুমকি দিয়ে এলাকাছাড়া করা হয়েছে। নৌকার সমর্থকেরা এসব হামলা করেছেন।

হামলায় আহত শ্রীপুর গ্রামের আবদুর রাজ্জাক বলেন, তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী এনামুল হকের পক্ষে ভোট করেছেন। তাঁর ওপর যাঁরা হামলা করেছেন, তাঁরা নৌকার সমর্থক। এ বিষয়ে এনামুল হকের সমর্থক গোয়ালকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আবদুস সালামের সঙ্গে কথা বলার জন্য কয়েকবার ফোন করা হলে তিনি সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

নৌকার নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য মাহাবুর রহমান বলেন, তিনি সবাইকে শান্ত থাকতে বলেছেন। তাঁরা সম্প্রীতির রাজনীতিতে বিশ্বাসী। তাঁদের দলের নেতা-কর্মীরা কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটাচ্ছেন না, তাঁরা সহাবস্থানে বিশ্বাসী। যদি এ রকম ঘটনা ঘটে, তা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে হওয়ার সম্ভাবনা নেই। ব্যক্তিগত কোনো বিষয়কে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতা বলা যাবে না।

বাগমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) অরবিন্দ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, নির্বাচনের পর কোনো ঘটনা ঘটেনি। থানায় কেউ মামলা ও অভিযোগ করেনি। পুলিশকে জানালে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ ছাড়া যেসব এলাকায় এসব ঘটনা ঘটেছে, সেসব এলাকায় গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।