ঝালকাঠিতে চলছে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ সংবর্ধনা

মুঠোফোনে সেলফি তুলে আর বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করে অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের ফাতেমা কনভেনশন সেন্টার প্রাঙ্গণেছবি: সাইয়ান

ঝালকাঠিতে চলছে শিখো-প্রথম আলো জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা। আজ মঙ্গলবার সকালে ঝালকাঠি শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের ফাতেমা কনভেনশন সেন্টারে এ অনুষ্ঠান শুরু হয়। এতে জেলার বিভিন্ন উপজেলার এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় অংশ নিয়ে জিপিএ-৫ পাওয়া দুই শতাধিক কৃতী শিক্ষার্থী অংশ নিয়েছে।

আজ সকাল ১০টার দিকে জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। তবে এর আগেই সকাল সাড়ে আটটা থেকে দল বেঁধে অনুষ্ঠানস্থলে আসতে থাকে শিক্ষার্থীরা। তাদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসে পূর্ণ হয়ে ওঠে সংবর্ধনাস্থল। মুঠোফোনে সেলফি তুলে আর বন্ধুদের সঙ্গে হইহুল্লোড় করে অনুষ্ঠানস্থল মাতিয়ে রাখে শিক্ষার্থীরা।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর ঝালকাঠি প্রতিনিধি আ স ম মাহমুদুর রহমান। সঞ্চালনা করেন ঝালকাঠি বন্ধুসভার নির্বাহী সদস্য মো. সাব্বির হোসেন ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক জান্নাতুল ইয়াসমিন। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য দিতে উপস্থিত হয়েছেন ঝালকাঠি সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ হেমায়েত উদ্দিন, ঝালকাঠি সরকারি হবচন্দ্র বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. নুরুল ইসলাম, ঝালকাঠি বন্ধুসভার উপদেষ্টা ইসরাত জাহান, প্রথম আলোর বিশাল বাংলা বিভাগের প্রধান তুহিন সাইফুল্লাহ প্রমুখ।

জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে ঝালকাঠিতে শুরু হয় কৃতী শিক্ষার্থী সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। আজ মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে শহরের টিঅ্যান্ডটি সড়কের ফাতেমা কনভেনশন সেন্টারে
ছবি: সাইয়ান

দেশের ৬৪ জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় জিপিএ-৫ উৎসব হচ্ছে। এবারের উৎসবটি পাওয়ার্ড বাই ‘বিকাশ’। সহযোগিতা করছে কনকর্ড গ্রুপ, ফ্রেশ, স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ, ইউসিএসআই ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ শাখা ক্যাম্পাস, মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।

দিনব্যাপী আয়োজিত এ সংবর্ধনায় শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট, প্রথম আলো ই-পেপার (১ মাস) ও চরকির (১৫ দিন) সাবস্ক্রিপশন, শিখোর সৌজন্যে বিনা মূল্যে কোর্স এবং ফ্রেশ ব্র্যান্ডের স্ন্যাকস।

সংবর্ধনায় আসা ঝালকাঠি হরচন্দ্র সরকারি উচ্চবালিকা বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী মিলা আক্তার বলে, ‘আমার জীবনে স্মরণীয় একটি অনুষ্ঠান এই জিপিএ-৫ প্রাপ্তদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান। জিপিএ-৫ পাওয়ার পর এই প্রথম কোনো অনুষ্ঠানে এসে মনে হচ্ছে, আমরা কৃতী শিক্ষার্থী।’

একই বিদ্যালয় থেকে জিপিএ-৫ পাওয়া সৈয়দা তাসমিহা তুবা বলে, ‘সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে খুব ভালো লাগছে। মনের ভেতর একরকম অনুপ্রেরণা তৈরি হচ্ছে ভবিষ্যতে আরও ভালো পড়াশোনা করার জন্য।’

নলছিটি গার্লস স্কুল অ্যান্ড কলেজের জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থী জান্নাতুল মুমু বলে, ‘প্রথম আলো আমাদের এত বড় একটি সংবর্ধনা দিয়েছে, যা কখনোই প্রত্যাশা করিনি। এ জন্য আমরা কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’