বিমানবন্দর থেকে নিখোঁজ বিদেশফেরত ব্যক্তির খোঁজ মেলেনি ২৫ দিনেও

নিখোঁজ সাইদুর রহমান
ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কুয়েত থেকে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি বিমানে ২১ জুন হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সাইদুর রহমান (৪৫)। স্বজনেরা তাঁকে আনতে বিমানবন্দরে অপেক্ষা করছিলেন। কিন্তু তাঁর সন্ধান পাননি তাঁরা। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ। এ ঘটনায় ২৫ জুন নিখোঁজ সাইদুরের স্ত্রী রেহেনা বেগম বিমানবন্দর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

সাইদুর রহমানের গ্রামের বাড়ি মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার বাইমাইল গ্রামে। তাঁর বাবার নাম সুলতান মাহমুদ। সাইদুরের গ্রামের বাড়িতে তাঁর স্ত্রী ও তিন সন্তান আছে। নিখোঁজের ২৫ দিন পার হলেও তাঁর কোনো সন্ধান না পাওয়ায় উদ্বেগ ও উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন স্বজনেরা।

জিডিতে উল্লেখ করা হয়, ২১ জুন সকাল সাড়ে আটটার দিকে সৌদি এয়ারলাইনসের একটি বিমানে কুয়েত থেকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান সাইদুর রহমান। বিমানবন্দরের সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করে তাঁর বাড়ি যাওয়ার কথা ছিল। এ জন্য তাঁর স্ত্রী রেহেনা বেগমসহ পরিবারের লোকজন তাঁকে বাড়িতে আনতে গাড়ি নিয়ে সকালেই বিমানবন্দরে যান। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর বিমানবন্দরের একটি সূত্রের মাধ্যমে তাঁরা জানতে পারেন, বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ইমিগ্রেশন থেকে বের হয়ে গেছেন তিনি। এর পর থেকে তিনি নিখোঁজ। এরপর তিন দিন পরিবারের লোকজন তাঁদের স্বজন, বিদেশে তাঁর সহকর্মী, স্থানীয় থানা ও বিমানবন্দরে খোঁজ নিয়েও তাঁর সন্ধান মেলেনি।

আজ রোববার দুপুরে নিখোঁজ সাইদুরের ছোট বোন আকলিমা প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর ভাই সাইদুর রহমান পরিবারের সঙ্গে ঈদ করতে ছুটিতে কুয়েত থেকে দেশে গ্রামের বাড়িতে আসছিলেন। ঢাকায় আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসার পর ইমিগ্রেশনের কাজ শেষ করে বাইরে বের হওয়ার পর থেকে তিনি নিখোঁজ। ২৫ দিন পার হলেও তাঁর ভাইয়ের সন্ধান পায়নি পুলিশ।

সাইদুরের স্ত্রী রেহেনা বেগম প্রথম আলোকে বলেন, কুয়েতে বিমানবন্দরে মালামাল বুকিং দিয়ে বিমানে ওঠার সময় স্বামীর সঙ্গে তাঁর কথা হয়। দেশে বিমানবন্দরে কাজ শেষ করে সেখান থেকে বের হন। এর পর থেকে তাঁর স্বামীর খোঁজ পাওয়া যাচ্ছে না। এ ঘটনায় তাঁরা দিশাহারা। স্বামীর সন্ধানে পুলিশ প্রশাসনের সর্বাত্মক সহযোগিতা চেয়েছেন তিনি।

জিডির তদন্ত করছেন বিমানবন্দর থানার উপপরিদর্শক আবদুল লতিফ মিয়া। তিনি বলেন, নিখোঁজ ওই ব্যক্তির মুঠোফোন নম্বর নেই। থাকলে তথ্যপ্রযুক্তির মাধ্যমে তাঁর সন্ধান করতে সহজ হতো। তবু বিভিন্নভাবে তাঁর সন্ধানের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ।