মুজিবনগরে নৌকার আনন্দমিছিলকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত ১৮

দুইপক্ষের সংঘর্ষে আহতদের মুজিবনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। গতকাল রাতেছবি: সংগৃহীত

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলায় নৌকা প্রতীকের আনন্দমিছিলকে কেন্দ্র করে পরাজিত স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়েছে। গতকাল সোমবার রাত আটটায় আনন্দবাস গ্রামে এ সংঘর্ষে দুই পক্ষের অন্তত ১৮ জন আহত হয়েছেন। একপর্যায়ে পুলিশ আটটি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

মেহেরপুর-১ (সদর-মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন জয় পেয়েছেন। তিনি ৩৬ হাজার ৬২১ ভোটের ব্যবধানে স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল মান্নানকে পরাজিত করেন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ফরহাদ হোসেন বিজয়ী হওয়ায় আনন্দবাস গ্রামের তাঁর কর্মী-সমর্থকেরা আনন্দমিছিল বের করেন। মিছিলটি পাকা সড়ক অতিক্রম করে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের বাড়ির সামনে জড়ো হয়ে স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় মিছিল থেকে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের কর্মীকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়েছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মেনতা মিয়া নৌকার আনন্দমিছিলটির নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন। একপর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে জিয়াউদ্দিনের কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা করেন।

পরে উভয় পক্ষ একে অপরের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এতে উভয় পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা আহত হন। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা-পুলিশ আটটি গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। সংঘর্ষে আহত ব্যক্তিদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও গুরুতর আহত ব্যক্তিদের জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মুজিবনগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল আলিম বলেন, প্রথমে নৌকা আনন্দমিছিল থেকে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের এক কর্মীকে চড়-থাপ্পড় মারা হয়। পরে মিছিলটি জিয়াউদ্দিনের বাড়ির সামনে গিয়ে আরও জোরে চিৎকার করে স্লোগান দিতে থাকে। পরে জিয়াউদ্দিন বিশ্বাসের কর্মীরা বাড়ি থেকে লাঠিসোঁটা নিয়ে তাঁদের ওপর হামলা চালান। হামলায় দুই পক্ষের কর্মী-সমর্থকেরা আহত হন।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা উজ্জ্বল দত্ত বলেন, পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আটটি গুলি ছোড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।