কিশোরগঞ্জে স্ত্রীকে হত্যার দায়ে স্বামীর মৃত্যুদণ্ড

আদালত
প্রতীকী ছবি

কিশোরগঞ্জের ইটনা উপজেলায় যৌতুক না পেয়ে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে সোহেল মিয়া (২৩) নামের এক তরুণকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ এ রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত সোহেল উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী এলাকার আলাল মিয়ার ছেলে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি এম এ আফজাল রায়ের বিষয়টি প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাঁকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাঁকে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

আদালত ও মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালে ইটনা উপজেলার জয়সিদ্ধি ইউনিয়নের পাগলশী এলাকার সোহেল মিয়ার সঙ্গে একই গ্রামের ইদ্রিস মিয়ার মেয়ে সাবিনা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর সোহেলকে যৌতুক হিসেবে দুই লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও ঘরের আসবাব দেন ইদ্রিস মিয়া। কিন্তু বিয়ের কয়েক দিন পর যৌতুকের জন্য সাবিনাকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন শুরু করেন সোহেল। পরে ভ্যান কেনার জন্য সোহেল মিয়াকে আরও ২০ হাজার টাকা যৌতুক দেন তিনি। এরপর আবার এক লাখ টাকা যৌতুক দাবি করলে সাবিনা অপারগতা প্রকাশ করেন। এরই জেরে ২০২১ সালের ২২ এপ্রিল রাতে শ্বাসরোধে সাবিনাকে হত্যা করা হয়। পরে পুলিশ তাঁর লাশ উদ্ধার করে।

এ ঘটনায় ওই দিন সাবিনার বাবা ইদ্রিস মিয়া বাদী হয়ে সোহেল মিয়া ও তাঁর মা ফুলবানুকে আসামি করে ইটনা থানায় মামলা করেন। একই বছরের ২৪ আগস্ট তৎকালীন ইটনা থানার পরিদর্শক মোহাম্মদ আহসান হাবিব শুধু সোহেলকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।