মুঠোফোনে আওয়াজ কমিয়ে গান শুনতে বলায় মাকে মারধর, হাসপাতালে মৃত্যু
মুঠোফোনে উচ্চ শব্দে গান বাজানোয় নিষেধ করায় ক্ষিপ্ত ‘ছেলের মারধরে’ প্রাণ গেল মায়ের। গতকাল শনিবার দিবাগত রাতে লালমনিরহাট সদরের বড়বাড়ীর শিবরাম মৌজার পালপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত নারীর নাম সুশীলা রানী কর্মকার (৫৫)। এই ঘটনায় তাঁর ছোট ছেলে নিমাই কর্মকারকে (৩৫) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় রোববার দুপুরে সুশীলার বড় ছেলে কানাই কর্মকার (৩৭) লালমনিরহাট সদর থানায় মামলা করেন। এতে নিমাই কর্মকারকে একমাত্র আসামি করা হয়।
মামলার বাদী কানাই কর্মকারের স্ত্রী মুন্নী কর্মকার বলেন, শনিবার রাতে উচ্চ শব্দে গান শুনছিলেন নিমাই কর্মকার। তখন মা সুশীলা কর্মকার প্রতিবেশীদের ঘুমে যাতে ব্যঘাত না ঘটে সে জন্য ছেলেকে আওয়াজ কমিয়ে গান শুনতে পরামর্শ দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে নিমাই। গান বন্ধ করে রাতে তিনি বাজারে চলে যান। পরে গভীর রাতে বাড়িতে ফিরে মাকে ঘরের বাইরে নিয়ে রড দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে তাঁকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। দিবাগত রাত তিনটার দিকে সুশীলা কর্মকার মারা যান। এর আগে ওই রাতে নিমাই বাজারে কয়েকজনকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করেন।
স্বজনদের ভাষ্য, নিমাই কর্মকার মানসিকভাবে অসুস্থ। সম্প্রতি তাঁর স্ত্রী অভিমান করে বাবার বাড়ি চলে যাওয়ায় তিনি আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহাম্মদ নূরুন্নবী জানান, প্রাথমিকভাবে নিমাইকে মানসিক রোগী বলে ধারণা করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।