বিলুপ্ত করার ৭ বছর পর কুলিয়ারচর উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা

ছাত্রলীগের লোগো

প্রায় সাত বছরের অপেক্ষার পর কিশোরগঞ্জের কুলিয়ারচর উপজেলা ছাত্রলীগ ও পৌর ছাত্রলীগের আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। আজ রোববার সকালে পৌর ছাত্রলীগের কমিটি ও গতকাল শনিবার উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি ঘোষণা করা হয়।

উভয় কমিটিতে কেবল সভাপতি, সহসভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। কমিটির মেয়াদ ধরা হয়েছে এক বছর। এক মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করার কথা। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. আনোয়ার হোসেন মোল্লা ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ফয়েজ উমান খান স্বাক্ষরিত উপজেলা কমিটির আকার ২৪ সদস্যের। আর পৌর কমিটি আট সদস্যের।

উপজেলা কমিটির সভাপতি করা হয়েছে সুশান্ত ভৌমিক আর সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে রবিন মিয়াকে। পৌর কমিটির সভাপতি হয়েছেন মোবাশ্বের আলম ও সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ইমন হোসেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সহসভাপতি প্যানেল আট সদস্যের। তাঁরা হলেন মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ, বুরহান উদ্দিন ভূইয়া, রুবেল দাস, মোহাম্মদ ইউসুফ মিয়া, শরীফুল আলম, শাহীন সওদাগর, দিদারুল ইসলাম ও জুম্মন খান। এদিকে পৌর ছাত্রলীগের সহসভাপতি করা হয়েছে দুজনকে। তাঁরা হলেন মাসুম খান ও হাবিবুর রহমান।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ১৩ এপ্রিল উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়। একই বছরের ২৪ নভেম্বর বিলুপ্ত হয় পৌর কমিটিও। এরপর থেকে কুলিয়ারচর উপজেলা ও পৌর ছাত্রলীগ ছিল কমিটিবিহীন। সর্বশেষ উপজেলা ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়েছিল ২০১৩ সালের ১৪ অক্টোবর। ৬১ সদস্যের কমিটির সভাপতি ছিলেন মো. কায়কোবাদ ও সাধারণ সম্পাদক ছিলেন আল সাকী। কাছাকাছি সময়ে রাজু আহমেদকে সভাপতি ও মো. অপুকে সাধারণ সম্পাদক করে গঠন করা হয়েছিল পৌর ছাত্রলীগের কমিটি।

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সুশান্ত ভৌমিক বলেন, ‘সাত বছর কমিটিবিহীন ছাত্রলীগের রাজনীতি ধরে রাখতে অনেক বেগ পেতে হয়েছে। কমিটি হওয়ায় এখন ওই সমস্যা কেটে গেল। স্বাধীন নেতৃত্ব কুলিয়ারচরে ছাত্রলীগের রাজনীতি নতুন করে গতি পাবে বলে আমার বিশ্বাস।’

পৌর কমিটির সভাপতি মোবাশ্বের আলম বলেন, দীর্ঘদিন কমিটি না থাকার সাংগঠনিক অনেক ক্ষতি হয়েছে। এখন এসব ক্ষতি পুষিয়ে আনার চেষ্টা হবে মূল কাজ।

নানা প্রতিকূলতা পেরিয়ে কুলিয়ারচরে অন্তত আংশিক কমিটি করতে পেরে স্বস্তি প্রকাশ করেছে জেলা কমিটির নেতারা। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন মোল্লা বলেন, ‘একটি উপজেলায় সাত বছর কমিটি না থাকা সংগঠনের জন্য ভালো খবর হতে পারে না। কুলিয়ারচরে তা–ই হয়েছে। তবে আশা করছি, এক মাসের মধ্যে ঘোষিত কমিটির সদস্যরা সক্রিয় কর্মীদের নিয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে নিয়ে সংগঠনের গতি ফেরাবেন।’