নাফ নদীর তিনটি ইলিশের দাম হাঁকানো হচ্ছে ১৬ হাজার টাকা

নাফ নদীতে আজ বিকেলে জালে ওঠা তিনটি বড় ইলিশ। টেকনাফ বাসস্ট্যান্ড বাজারে
ছবি: প্রথম আলো

কক্সবাজারের টেকনাফে এক জেলের জালে ধরা পড়েছে বড় আকারের তিনটি ইলিশ। আজ মঙ্গলবার উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরার জলিলেরদিয়ার কাছাকাছি নাফ নদীতে জেলে নজির আহমদের জালে বেলা তিনটার দিকে মাছ তিনটি ধরা পড়ে। এর একটির ওজন ২ কেজি ৫০০ গ্রাম এবং অপর দুইটির ওজন ২ কেজি করে। এই মাছ তিনটি টেকনাফ পৌরসভার জালিয়াপাড়া বাসিন্দা ও বাসস্ট্যান্ডের মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেন ওই জেলের কাছ থেকে ৯ হাজার টাকায় কিনে নিয়ে এখন দাম হাঁকাচ্ছেন ১৬ হাজার টাকা।

আরও পড়ুন

জেলে নজির আহমদ বলেন, ১২ বছর বয়স থেকে বাবার সঙ্গে নাফ নদীতে মাছ ধরতে শুরু করেন। বর্তমানে ২৭ বছরের বেশি এ পেশায় আছেন। আজ দুপুরে কর্কশিটের ভেলা নিয়ে তিনি নাফ নদীর জলিলেরদিয়ার কাছাকাছি জাল ফেলেন। বেলা তিনটার দিকে জাল তুলে দেখেন, তিনটি বড় আকারের ইলিশ ধরা পড়েছে। দেরি না করে মাছ তিনটি নিয়ে টেকনাফ পৌরসভার বাসস্ট্যান্ড মাছবাজারে চলে আসেন। এরপর মাছ ব্যবসায়ী আমির হোসেন মাছ তিনটি ৯ হাজার টাকায় কিনে নেন।

আরও পড়ুন
টেকনাফ বাসস্ট্যান্ড বাজারে বিক্রেতা এই তিনটি ইলিশের দাম হাঁকাচ্ছেন ১৬ হাজার টাকা। আজ বিকেলে
ছবি: প্রথম আলো

আমির হোসেন বলেন, তিনটি মাছের মধ্যে বড়টির ওজন আড়াই কেজি, অন্য দুইটির ওজন দুই কেজি করে। প্রতি কেজি ২ হাজার ৫০০ টাকা দরে তিনি তিনটি মাছের দাম হাঁকাচ্ছেন ১৬ হাজার টাকা। অনেকে প্রতি কেজি ২ হাজার ২০০ টাকা করে দাম করছেন। কিন্তু কাঙ্ক্ষিত মূল্য না পেলে মাছ তিনটি এখানে বিক্রি না করে রাতে অন্যত্র বিক্রির চেষ্টার করবেন।

মাছ ব্যবসায়ীরা জানান, বাজারে কয়েক দিন ধরে বড় আকারের ইলিশ আসছে। তবে এসব বড় ইলিশ সাগরের নয়, নাফ নদীতে ধরা পড়ছে। বড় ইলিশ দেখলে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। অনেকে মুঠোফোনে ছবি তুলছেন ও ভিডিও করছেন। তবে বিক্রেতারাও চাহিদা বুঝে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

টেকনাফ উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস্য কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, গত এক সপ্তাহের মধ্যে নাফ নদী থেকে দুই ও আড়াই কেজি ওজনের আটটি রুপালি ইলিশ ধরা পড়েছে। নাফ নদীতে ছয় বছর ধরে মাছ ধরা বন্ধ থাকলেও জেলেরা জীবিকার তাগিদে চুরি করে মাছ ধরছেন। বর্তমানে নাফ নদী ইলিশ ও কোরাল মাছের অভয়ারণ্যে পরিণত হয়েছে।

প্রসঙ্গত, রোহিঙ্গা অনুপ্রবেশ ও ইয়াবা পাচার ঠেকাতে ২০১৭ সালের এপ্রিলের শুরু থেকে নাফ নদীতে মাছ ধরা বন্ধ করে দেয় বিজিবি।

আরও পড়ুন