বীজ আত্মসাতের অভিযোগে যশোরে বিএডিসির সাবেক আট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা

যশোর জেলার মানচিত্র

বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) ঝিনাইদহের দত্তনগরের ৩টি খামারে ২ কোটি ৬৮ লাখ টাকার বীজ আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির সাবেক আট কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক আল আমিন বাদী হয়ে আজ বুধবার দুপুরে যশোরের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে এ মামলা করেন।

মামলার আসামিরা হলেন বিএডিসি যশোরের বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের সাবেক উপপরিচালক আমিন উল্যা, বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের সাবেক সহকারী পরিচালক আলী হোসেন, ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক ইন্দ্রজিত চন্দ্র শীল, গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক তপন কুমার সাহা, সাবেক গুদামরক্ষক রেজাউল কবির, লিয়াকত আলী, চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার বিএডিসি পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারের সাবেক উপপরিচালক আক্তারুজ্জামান তালুকদার এবং সাবেক ভারপ্রাপ্ত গুদামরক্ষক কামরুল আহসান।

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে পরস্পরের যোগসাজশে দুর্নীতি, প্রতারণা, জালিয়াতি, অপরাধমূলক অসদাচরণ ও বিশ্বাসভঙ্গের মাধ্যমে বিএডিসির ঝিনাইদহের দত্তনগর করিঞ্চা বীজ উৎপাদন খামার, মহেশপুর উপজেলার দত্তনগর গোকুলনগর বীজ উৎপাদন খামার ও চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার পাথিলা বীজ উৎপাদন খামারে ২০১৮-২০১৯ উৎপাদন বছরে ২ কোটি ৬৮ লাখ ৩১ হাজার ৭৭৫ টাকার বীজ আত্মসাৎ করেছেন। এর মধ্যে ১২৯ মেট্রিক টন হাইব্রিড ধানবীজ, ৪ দশমিক ৬৯ মেট্টিক টন ব্রি-২৮ জাতের ধানবীজ ও ২১ দশমিক ৮১৮ মেট্রিক টন বারি-৩০ জাতের গমবীজ ছিল। আসামিরা এসব বীজ স্টক বহিতে অন্তর্ভুক্ত কিংবা উত্তোলন না করে আত্মসাৎ করেন।

আত্মসাৎ করা বীজ বিএডিসি যশোরের ঝুমঝুমপুর এলাকার বীজ প্রক্রিয়াজাতকরণ কেন্দ্রের গুদামে লুকিয়ে রাখা হয়। বিষয়টি বিএডিসির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টিতে এলে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত কমিটি বীজ আত্মসাতের অভিযোগের প্রমাণ পায়। পরবর্তী সময়ে দুদক অভিযোগের তদন্ত শুরু করে। প্রাথমিক তদন্তে দুর্নীতির অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলা ও অন্যান্য তথ্য প্রথম আলোকে নিশ্চিত করেছেন দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় যশোরের উপপরিচালক ও মামলার বাদী আল আমিন।